কলকাতা: রাজ্যে ফের বাড়ল দৈনিক করোনা (Corona Updates) আক্রান্তের সংখ্যা। একদিনে রাজ্য ১৫ হাজারের বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত (Omicron) হয়েছেন৷ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ৪২১ জন৷ আর করোনা আক্রান্ত (West Bengal Corona) হয়েছে মারা গিয়েছেন ১৯ জন৷ যা বুধবারের রিপোর্ট অনুযায়ী অনেকটাই বেশি৷ শুধু করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি নয়, পজিভিটির হার বেড়ে ২৪.৭১ পৌঁছেছে৷
এ দিনের রিপোর্ট অনুযায়ী করোনা আক্রান্তের মৃত্যু সংখ্যা বেশি কলকাতা লাগোয়া জেলা উত্তর ২৪ পরগনা৷ একদিনে ৭ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে৷ তারপরে রয়েছে কলকাতা৷ সেখানে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ ২ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও দার্জিলিং ও হুগলিতে৷ আর ১ জনের মৃত্যু হয়েছে হাওড়াতে৷
মৃত্যুর নিরিখে উত্তর ২৪ পরগনা এগিয়ে গেলেও বৃহস্পতিবারের বুলিটিনে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায় এগিয়ে কলকাতা৷ একদিনে ৬ হাজার ৫৬৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন৷ দ্বিতীয়স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা৷ এই জেলায় একদিনে ২ হাজার ৫৬০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন৷ হাওড়ায় ১২৪৮ জন, পশ্চিম বর্ধমানে ৯১৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন৷
গত সাত-আট দিনে রাজ্যের কোভিড (Covid-19 in Kolkata) আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫ হাজার ছাড়িয়েছে। বুধবার কলকাতায় কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যে তৃতীয় ঢেউ এসে গিয়েছে। এরপরও স্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়ে সাধারণ মানুষের উদাসীনতা চোখে পড়ার মত।
মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, মাস্ক মাস্ট। মাথায় টুপি। আর হাতে গ্লাভস। আর জরুরি সংক্রমিত হলে নিজেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন করে রাখা। শুধু তাই নয় পরিবারের বাকি সদস্যদেরও হোম আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের সদস্য, মুখ্যমন্ত্রীর ভাই স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে মেলামেশা করেছেন। এই ঘটনায় বিরক্ত মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শ, ‘ভাইরাসকে মোকাবিলার কাজ একেবারে ঘর থেকে কাজ শুরু করতে হবে। একজন নাগরিকের এটাই কর্তব্য।’