কপিল দেব এবং সুনীল গাভাসকর। দু’জনেই ভারতীয় ক্রিকেট কিংবদন্তি। যেসময় দু’জনে ভারতের হয়ে খেলতেন, সেইসময় দুজনের মধ্যে যে ঠান্ডা লড়াইও ছিল সেটা বলা বাহুল্য। কিন্তু তা সত্ত্বেও দুজনের সাফল্যের আনন্দে সামিল হয়েছেন দু’জনেই।
১৯৮৭ সালের ৭ মার্চ। আমেদাবাদে ভারত-পাকিস্তান টেস্ট। সুনীল গাভাসকরের টেস্ট ক্রিকেটে ১০০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ হওয়ার দিন। এরকম একটা মুহূর্ত আসছে জেনে কপিল দেব আগে থেকেই সেলিব্রেশনের জন্য ব্যবস্থা করে রেখেছিলেন। উল্লেখ্য, ব্যক্তিগত ৫৮ রান করে সেই মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন লিটল মাস্টার। এরপরই ড্রেসিংরুমে ফিরে সেলিব্রেশন। কপিলের উদ্যোগে গাভাসকরের মাইলফলক স্পর্শের দিন সেলিব্রেশন চলল শ্যাম্পেনের ফোয়ারায়। সেইসময়ে আমেদাবাদে ‘শ্যাম্পেন’-এর ব্যবস্থা করা এতটা সহজ ছিল না। গুজরটের আমেদাবাদ সাধারণত ‘ড্রাই স্টেট’ হিসেবে পরিচিত। কিন্তু তা সত্ত্বেও সতীর্থের বিশেষ দিনের জন্য বিশেষ অনুমতি আদায় করে নেন কপিল দেব নিখাঞ্জ। বহু বছর পর এই কথা নিজেই স্বীকার করে নিয়েছিলেন সুনীল মনোহর গাভাসকর।
‘আমি জানতাম ১০০০০- রানের মাইলফলকে পৌঁছাতে আর ৫৮ রান প্রয়োজন। যতদূর মনে পড়ে আমি অর্ধশতরান করেছিলাম সিঙ্গল নিয়েই। মাইফলক স্পর্শ করেছিলাম ইজাজকে লেট কাট করে। মনে হচ্ছিল যেন আমি প্রথম কেউ যে মাউন্ট এভারেস্টে উঠেছি’-বলেন গাভাসকর। প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এই অনন্য মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন তাঁর খেলা ১২৪তম টেস্টে। ঠান্ডা লড়াই দুজনের মধ্যে যতোই থাকুক না কেন বিশেষ দিনে প্রিয় সানির পাশে থাকতে কখনোও পিছুপা হননি ‘হরিয়ানা হ্যারিকেন’!
অন্য খবর দেখতে ক্লিক করুন: