ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেল ‘শেরশাহ’। ছবিতে অভিনয় করেছেন সিদ্ধার্থ মালহোত্রা। ‘শেরশাহ’ দেখার পর অনেকেই বলছেন সিদ্ধার্থের কেরিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে ছবি। ‘শেরশাহ’ এক কথায় পাওয়ার প্যাক্ট ছবি। গোটা ছবি জুড়ে অভিনয় করেছেন সিড। কার্গিল যুদ্ধের ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রা আর তাঁর ভাইকে যে ভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন তা অনেকেরই ভাল লেগেছে। শুধুমাত্র সিদ্ধার্থকে দেখার জন্যই ছবি দেখা যেতে পারে বলে অভিমত দিচ্ছেন সমালোচকরা।
আরও পড়ুন : জয় হিন্দ কি সেনা
রিয়েল লাইভ পার্টনার কিয়ারা আদবানির সঙ্গে ছবিতে জুটি বেঁধেছেন সিদ্ধার্থ। তাঁদের রোম্যান্টিক মুহূর্তগুলোও পছন্দ করছেন দর্শক। ছবিতে সিদ্ধার্থের পাশাপাশি মুগ্ধ করেছেন কিয়ারাও। সমালোচকরা বলছেন শুধু সিদ্ধার্থ বা কিয়ারাই নন, যারা যারা কাজ করছেন সকলেই ইমোশন দিয়ে অভিনয় করেছেন। তাতেই বেড়েছে ছবির মান। অনেকেই বলছেন ওয়েব প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে বড়পর্দায় যদি ‘শেরশাহ’ মুক্তি পেত তাহলে বক্সঅফিসের হিসাবনিকেশ উল্টে যেতে পারত।
‘শেরশাহ’-এর জন্য খেটেছিলেন সিদ্ধার্থ ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রা আর তাঁর যমজ ভাই বিশাল বাত্রার জীবনের বিভিন্ন পর্ব ফুটিয়ে তুলতে হয়েছে তাঁকে। যুদ্ধের খুঁটিনাটি পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি, বিক্রম- বিশালের বাড়িতে গিয়ে নিজেকে তৈরি করেছেন সিদ্ধার্থ। যজম ভাই-এর চরিত্র পর্দায় ফুটিয়ে তোলা নিয়ে রীতিমতো এক্সাইটেড ছিলেন তিনি। বিক্রম আর বিশালের চারিত্রিক বিভিন্নতা ভাল করে খেয়াল করেছিলেন তিনি, যাতে পর্দায় দুই ভাইকে ফুটিয়ে তোলায় কোনও ফাঁকি না থেকে যায়, সে দিকে নজর ছিল সিডের।
আরও পড়ুন : ‘বহুমূল্য’ প্রোমোশন
কার্গিল যুদ্ধের যোদ্ধার চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে নিজের সম্পূর্ণ মেকওভার করেছিলেন সিদ্ধার্থ। চরিত্র পর্দায় ফুটিয়ে তোলার আগে গ্রুমিং সেশনে যোগ দিয়েছিলেন, তাতে যে উপকারই হয়েছে তা সিড তো বটেই স্বীকার করে নিয়েছেন দর্শকরাও।