আজ ২ মে বরেণ্য চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিন। নানান অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হচ্ছে। এবার শহর জুড়ে সচেতনতা মূলক প্রচারে কাজে লাগানো হলো সত্যজিতের ছবির চরিত্রদের। আগামী ৮ মে আন্তর্জাতিক থ্যালাসেমিয়া দিবস। সারা বিশ্ব জুড়ে এই ব্যাধির বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে নানা কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে। পিছিয়ে থাকেনি সত্যজিতের শহর কলকাতাও।শহরের এক অতি পরিচিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সামিল হল কর্মযজ্ঞে। এবছর ৩ মে অর্থাৎ আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে নানা কর্মসূচী। চমক লাগাবে এবছরের থ্যালাসেমিয়া সচেতনতার প্রচার পরিকল্পনায়। শহর জুড়ে থ্যালাসেমিয়া সচেতনতায় নেমেছেন সত্যজিৎ রায়ের ছবির চরিত্রেরা। দেবী’র শর্মিলা ঠাকুর, ‘জলসাঘর’ এর ছবি বিশ্বাস, ‘মহানগর’ এর মাধবী মুখোপাধ্যায়, ‘গুপি গাইন বাঘা বাইন’ এর রবি-তপেন, ‘সোনার কেল্লা’র সৌমিত্র, ‘আগন্তুক’ এর উৎপল দত্ত আরো অনেকে। প্রচারে এই চরিত্রেরা থ্যালাসেমিয়া নিয়ে সচেতনতার নানা কথা বলছেন। ছবির থিম, কখনো ডায়ালগকে মাথায় রেখে বানানো হয়েছে নানা রকমের স্লোগান। ঠিক যেন এই চরিত্রগুলো আমাদের মতো রক্ত মাংসের মানুষ হয়ে পথে নেমেছে সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবার্ষিকীতে।
বিশ্ববরেণ্য পরিচালক শিশুদের জন্য অনেক কাজ করেছেন। গল্প লেখা থেকে শুরু করে, ছবি বানানো, ‘সন্দেশ’ পত্রিকার সম্পাদনা, নানা রকম ইলাসট্রেশন করা। অথচ একটু অসচেতনতার জন্য সেই শিশুরাই থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হয়। এ যেন সেই সব থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের পক্ষ থেকেই এই বিশ্ববরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতাকে স্মরণ। ক্যাপশনগুলো লিখেছেন শিশুরাই। সংশ্লিষ্ট স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘সেরাম থালাসেমিয়া প্রিভেনশন ফেডারেশন’ এর সম্পাদক সঞ্জীব আচার্য মনে করেন, সত্যজিতের ছবির চরিত্রগুলোও যেহেতু ভীষণ জনপ্রিয়। তাই এই চরিত্র গুলোকে প্রচারের প্রচারের কাজে লাগালে লোকের চোখে বেশি করে পড়বে। সেক্ষেত্রে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্য সফল হবে। সত্যজিৎবাবু তাঁর সৃষ্টিতে অমর। এখানে তাঁর সৃষ্টি সমাজে থ্যালাসেমিয়ার মতো একটা ব্যাধি সম্পর্কে সচেতনতার অংশ হয়ে উঠল এতে সামগ্রীক ভাবে প্রচারটা অনেক বেশি করে লোকের চোখে পড়বে।