রবিবার হত্যা-হুমকি চিঠি পাওয়ার পর থেকেই বলিউড হার্টথ্রব অভিনেতা সলমন খানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হয়েছে। তাঁর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় মুম্বই পুলিশ কোন ফাঁক রাখতে চাইছে না। প্রসঙ্গত, সলমন ও তার বাবা সেলিম খান একই সঙ্গে এই হত্যা-হুমকি চিঠি পান। এই ঘটনার পর মুম্বাইয়ের বান্দ্রা থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এর পরেও কাজ বন্ধ রাখতে রাজি নন ‘মোস্ট এলিজেবল ব্যাচেলর’ সলমন খান। শ্যুটিং করতে হায়দ্রাবাদ গেলেন অভিনেতা। ‘কভি ঈদ কভি দিওয়ালি’ ছবির শ্যুটিং করতে সলমন আগামী ২৫ দিন হায়দ্রাবাদ থাকবেন। এই সিরিয়ালের শুটিং শেষ হলে টাইগার থ্রি ছবির শুটিংয়ে যোগ দেবেন সলমন খান। প্রসঙ্গত, মামলা দায়ের হওয়ার পর তদন্তের জন্য সলমনের বান্দ্রার বাড়িতে সিবিআই-এর একটি দল গিয়েছিলেন। সলমন ও তাঁর বাবাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তারা। সোমবার মুম্বাইয়ের কালিনা এয়ারপোর্টে পুলিশের ঘেরাটোপের মধ্যে দেখা মিলল সলমনের। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে এয়ারপোর্টে সলমনের গাড়ি ঢুকতেই সেখান থেকে প্রথম নেমে আসে এক পুলিশ অফিসার। তারপর সলমনকে গাড়ি থেকে বের করে নিয়ে আসা হয়। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী। সলমন কালো টি-শার্ট এর উপর নিল চেকড শার্ট পরেছিলেন। পাপারাৎজিদের দেখে তিনি হাত নাড়ান। সূত্রের খবর ব্যক্তিগত বিমানে চড়ে তিনি হায়দ্রাবাদ রওনা দিয়েছিলেন ছবির কাজের জন্য। কিছুদিন আগে জনপ্রিয় পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসওয়ালাকে হত্যা করা হয়েছিল। যা নিয়ে গোটা দেশে আলোড়ন তৈরি হয়েছে। একে-৪৭ থেকে ৩০ রাউন্ড গুলি চালিয়ে ঝাঁঝরা করে দেয়া হয়েছিল এই তরুণ গায়ককে। এই হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত হিসেবে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নাম প্রকাশ্যে আসতেই সলমনের নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নয় মুম্বই পুলিশ। কারণ লরেন্সের টার্গেটের রয়েছে এই বলিউড হিরো। এরই মধ্যে এসেছে হত্যা-হুমকির চিঠি। মুম্বই পুলিশ কমিশনার সঞ্জায় পান্ডে জানিয়েছেন,’এই চিঠি ভুয়ো কিনা তা এখনই বলা সম্ভব নয়’। ‘আইফা ২০২২’ উপলক্ষে সলমন ছিলেন আবুধাবিতে। সেখান থেকে রবিবার তিনি মুম্বই ফেরেন। তার পরেই জানা যায় সলমনের জন্য কেউ একটি বেনামি চিঠি ছেড়ে গিয়েছেন। প্রত্যেকদিন সকালে নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়ে সলমন প্রাতঃভ্রমণে যান। একটি নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে তিনি বিরোতিও নেন। ওই নির্দিষ্ট জায়গায় একটি বেঞ্চে ছেড়ে যাওয়া হয়েছিল ওই বেনামি চিঠি। যা খুঁজে পায় সালমানের নিরাপত্তারক্ষীরা। পরে তা তুলে দেওয়া হয় সুপারস্টারের হাতে। ওই চিঠিতে লেখা ছিল,’মুসেওয়ালার মত অবস্থা করে দেব।’