করোনা মহামারীর সঙ্গে লড়াই করতে করতে এমনিতেই গোটা বিশ্বের ক্ষতবিক্ষত অবস্থা। সেই সঙ্গে রয়েছে নানান প্রাকৃতিক দুর্যোগ। দুষ্টের দমন পীড়ন পৃথিবী জুড়ে যেন বেড়েই চলেছে। এতকিছুর মধ্যেও চলেছে বিক্ষিপ্ত যুদ্ধ। এক বিপদের পর আবার নতুন বিপদ এসে হাজির। বিশ্ববাসীর মনে নতুন করে ভয় ধরিয়েছে আফগানিস্তানে তালিবানদের আগ্রাসী মনোভাব। কাবুল দখল করেছে তারা। সংবাদমাধ্যমের টুকরো টুকরো খবর এবং ভিডিও পরিষ্কার করে দিচ্ছে সেদেশের রাজনৈতিক এবং সামাজিক দুর্দশার ছবি। রাতের ঘুম কেড়েছে সীমান্তবর্তী দেশগুলির। প্রাণ সংশয় দেখা দিয়েছে সে দেশে ভারতীয়দের।
আরও পড়ুন: পাউরুটি বিক্রেতা সনু
এই সংকটের দিনে চুপ থাকতে পারেনি বলিউডও। করোনা মহামারীর সংকটজনক পরিস্থিতিতে কয়েক হাজার মানুষের ‘মসিহা’ হয়ে উঠেছিলেন অভিনেতা সনু সুদ। আফগানিস্তানের মানুষের মর্মান্তিক অবস্থা দেখে তার প্রাণ কেঁদে উঠেছে আবার। তিনি টুইটে লিখেছেন,’শক্ত থাকো আফগানিস্তান সারা পৃথিবী তোমার জন্য প্রার্থনা করছে’। চুপ থাকেনি বলিউডের অন্যান্য অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও।
ভারতের স্বাধীনতা দিবসে আফগানিস্তানে নেমে এলো পরাধীনতা। সে দেশের তালিবানরা দখল করে নিল রাজধানী কাবুল। মুহূর্তে কোটি-কোটি আফগানবাসী তাদের স্বাধীনতা হারালো। এ বিষয়টি উল্লেখ করে অভিনেত্রী সনি রাজদান সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘একদিকে একটু দেশ স্বাধীনতা দিবস পালন করছে অন্যদিকে আরেকটি দেশ মৃত্যু লীলায় মত্ত হয়েছে। এ কোন দুনিয়া’! অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর একটি গ্রাফিক্স পোস্ট করে লিখেছেন,’এই ছবিটি বুঝিয়ে দিচ্ছে আফগান বাসীদের যেন কোন হিংস্র বাঘের মুখে ফেলে দেওয়া হয়েছে; বিশেষত মহিলাদের’। পরিচালক-অভিনেতা শেখর কাপুর লিখেছেন, ‘আফগানদের জীবন অত্যন্ত মূল্যবান। আফগান বাসিরা এখন কার ওপরই বা রাগ দেখাবে?’
মাত্র দুদিনে ঘটে যাওয়া একের পর এক ভয়াবহ ঘটনা দেখে বাকরুদ্ধ বলিউড অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, ‘সারা বিশ্বে যখন মহিলারা সমান বেতনের অধিকারের জন্য লড়ছেন তখন আফগানিস্থানে বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে মহিলাদের। আফগানিস্তানের মহিলাদের অবস্থা দেখে আমি ব্যথিত। বিশ্বনেতাদের রুখে দাঁড়ানোর জন্য আবেদন জানাচ্ছি। মহিলারাও কিন্তু মানুষ’।
তালিবানরা কাবুল দখল করে নেওয়ার পর আফগানিস্তানের চিত্রটা আরো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। মানুষ পালিয়ে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করছে। সে দেশের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই লেগে রয়েছে বুলেটের দাগ। কোথাও বা জ্বলছে গ্রেনেডের আগুনে বাড়ি। অন্যদিকে পার্লামেন্টের চেয়ারে বসে হাসি ঠাট্টায় মজলিস জমাচ্ছে তালিবানরা। ভীতসন্ত্রস্থ গোটা বিশ্ব।