কেন্দ্রীয় সরকারের পদ্মশ্রী সম্মান নিতে অস্বীকার করেছেন কিংবদন্তী শিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। অপমানিত ও আহত হয়েই পদ্মশ্রী প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১৯৭১ সালে ‘জয় জয়ন্তী’ এবং ‘নিশিপদ্ম’ ছবিতে গান গেয়ে শ্রেষ্ঠ গায়িকা হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। রাজ্য সরকার তাঁকে ২০১১ সালে ‘বঙ্গবিভূষণ’ উপাধিতে সম্মানিত করে।
স্বর্নালী যুগের বর্ষিয়ান শিল্পীকে গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় বাঙালির হৃদয়ে থাকেন, তাই এতো বছর পর পদ্মশ্রী দেওয়াতে আহত হয়েছেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। বরেন্য এই শিল্পী ছাড়াও তবলা বাদক পন্ডিত অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় এই সম্মান প্রত্যাখ্যান করেছেন, তিনিও জানান , তিনি পদ্মভূষণ পেলে অবশ্যই নিতেন, তবে এতো বছর শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সেবা করে পদ্মশ্রী পাওয়াকে অপমান হিসেবেই মনে করেছেন তিনি।
তবে পদ্মশ্রী ফেরানোর কাহিনি নতুন নয় , এর আগে বাংলার বহু শিল্পী পদ্মশ্রীকে সম্মানকে না করেছেন। এর মধ্যে সঙ্গীত শিল্পী সুরকার হেমন্ত মুখোপাধ্যায় যেমন আছেন, তেমনই রয়েছেন নাট্যকার শিশির কুমার ভাদুড়ি , তারাপদ চক্রবর্তী, অভিনেতা, নাট্যকার সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, সুরকার গায়ক সলিল চৌধুরী, নাট্যকার বাদল সরকার, পরিচালক সাহিত্যিক বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, অভিনেতা নাট্যকার উৎপল দত্ত। বাঙালি শিল্পীরা সব সময়ই যেকোন অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন।
তাই পদ্মশ্রী প্রত্যাখ্যানের এই ঘটনা আবার প্রমান করলো শিল্পীদের কাছে তার ব্যক্তিগত সম্মান অন্য যেকোন সম্মানের থেকে অনেক উপরে।