শোনা যাচ্ছে শুরু হতে পারে আবার ‘বজরঙ্গি ভাইজান’। বলিউড সুপারস্টার সলমন খানের অন্যতম সাড়াজাগানো ছবি এটি। নির্মাতারা ছবির সাফল্য দেখে এটি সিক্যুয়াল নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন। যোজ্যতা অত্যন্ত প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। ‘বজরঙ্গি ভাইজান ২’ ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন কে ভি বিজয়েন্দ্র প্রসাদ। প্রথমটির চিত্রনাট্য লিখেছিলেন তিনিই। এছাড়া প্রভাসের ‘বাহুবলি’ এবং কঙ্গনা রনোয়াতের ‘মনিকার্নিকা: দ্যা কুইন অফ ঝাঁসি’ ছবির চিত্রনাট্য তার লেখা। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিজেন্দ্র বলেছেন, ‘বজরঙ্গি ভাইজান ২’ ছবির গল্প নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছি। আমার আইডিয়া শুনে সলমন সিক্যুয়েল তৈরি করতে খুবই উৎসাহী। আমরা দুজনে ছবির গল্প নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি’। ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ পরিচালনা করেছিলেন কবির খান। এই ছবিতে সলমনের সঙ্গে যারা অভিনয় করেছিলেন তাদের মধ্যে নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকি, কারিনা কাপুর,হারশালি মালহোত্রার নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
২০১৫ সালে জুলাই মাসে মুক্তি পাওয়া এই ছবিটি চলচ্চিত্র জগতে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল। প্রায় ৮০কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ছবিটি শেষ পর্যন্ত ব্যবসা করেছিল প্রায় এক হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। ছবিতে দেখানো হয়েছিল সলমন বজরঙ্গি অর্থাৎ হনুমান দেবতার ভক্ত। তিনি মুন্নি নামের একটি মেয়েকে তার দেশ পাকিস্তানের ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু নানান প্রতিবন্ধকতার মধ্যে পড়তে হয় তাকে। শেষ পর্যন্ত তিনি মেয়েটিকে ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হন। ছবিতে সালমান খানের ছোট্ট নায়িকা মুন্নিকে কেউ কখনো ভুলতে পারবে না। এই চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তখনকার শিশুশিল্পী হারশালি মালহোত্রা। এই ছবিতেই হারশালি ডেবিউ করেন। ছবিতে সলমন, নওয়াউদ্দিন ও করিনার সঙ্গে তার অভিনয় দর্শকদের মনে বিশেষভাবে দাগ কাটে। এই নিয়েই ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ এর টানটান চিত্রনাট্যে মানুষকে ভীষণভাবে আকর্ষণ করেছিল। এই ছবির অনেকটাই জুড়ে ছিল মুন্নি। অবশ্যই অন্যতম আকর্ষণও বটে। অর্থাৎ শিশুশিল্পী হারশালি। কিন্তু সে এখন অনেকটাই বড় হয়ে গেছে। কাজেই এ ছবির সিকোয়েন্সে তার কেমিস্ট্রি কতটা কাজ করবে সেটাও দর্শকদের কাছে একটা প্রশ্ন।এখন দেখা যাক ‘বজরঙ্গি ভাইজান ২’ এর গল্প কোন দিকে মোড় নেয়।