কলকাতা: মেধাতালিকায় তাঁদের নাম ছিল না। তার পরেও তাঁরা দু’জনেই স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছেন। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে তা স্বীকার করেও নিয়েছেন দু’জন। এই স্বীকারোক্তিতে বিস্মিত বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। মেধাতালিকায় নাম না-থেকেও চাকরি হল কী ভাবে, তা নিয়ে বিস্মিয় প্রকাশ করেন বিচারপতি।
এসএসসি নবম-দশম বাংলায় ‘ভুয়ো’ নিয়োগ খুঁজতে নির্দেশ দিল আদালত। মেধাতালিকার বাইরে থেকে চাকরি পাওয়া দু’জনকে এ দিন ৪৮ ঘন্টা সময় দিল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ডিভিশন বেঞ্চ। তার মধ্যে হলফনামা দিয়ে বিশদ জানাতে হবে। মেধাতালিকা তো নয়, অপেক্ষমান মেধাতালিকাতেও এই দু’জনের নাম ছিল না।
এই বেআইনি নিয়োগ ঘিরে স্বভাবতই কাঠগড়ায় এসএসসি। কড়া মনোভাব ব্যক্ত করে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন প্রশ্ন তোলেন, এসএসসি-র এমন নিয়োগ সুপারিশ শুধুই ‘ভুল’ নাকি ‘ইচ্ছাকৃত ভুল’ নাকি ‘সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য ভুল’ তা খুঁজে পেতে চায় আদালত। বৃহস্পতিবার ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে৷
এসএসসি নবম-দশম (বাংলা) ‘ভুয়ো’ নিয়োগ মামলায় ইতিমধ্যে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় একক বেঞ্চ। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার এবং এসএসসি। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির রহস্যভেদে SIT গড়ে তদন্তের প্রস্তাব দেন অ্যাডভোকেট জেনারেল। সিবিআই তদন্তের ওপর স্থগিতাদেশের সময়সীমা এ দিন আরও দু’সপ্তাহ বাড়াল ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন-Russia-ukraine-war: ইউক্রেন রিভনের টিভি টাওয়ারে রুশ হামলায় ১৯ জনের মৃত্যু, জখম ৯