শিলিগুড়ি : আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস ছিলই। উত্তরবঙ্গে শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টি। নিম্নচাপের জেরে গত কয়েকদিন ধরে শিলিগুড়িতে চলছে টানা বৃষ্টি। ৪৮ ঘণ্টার লাগাতার বৃষ্টিতে জল থই থই শিলিগুড়ির অশোকনগরেরের বিস্তীর্ণ এলাকা।
উত্তরবঙ্গের কালিম্পং, আলিপুদুয়ার, কোচবিহারের মতো শিলিগুড়িতেও চলছে ভারী বৃষ্টি। শিলিগুড়ি শহরের মধ্য়ে দিয়ে বয়ে গিয়েছে মহানন্দা, জোরাপানি, ফুলেশ্বরীম মত একাধিক নদী। পরপর কয়েক দিনের বৃষ্টিতে নদীর জলস্তর ক্রমশই বাড়ছে। বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই পরিস্থিতি। শিলিগুড়ির একাধিক এলাকা জলে ডুবে, যা প্রশাসনের চিন্তা বাড়িয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় বন্যা পরিস্থিতি উত্তরবঙ্গের প্রাণকেন্দ্রে।
জলে ডুবে শিলিগুড়ির অশোকনগর
অশোকনগর, সন্তোষীনগর, গঙ্গানগর এবং চম্পাসারি-সহ শহরের বহু এলাকায় জমা জলে জনজীবন প্রায় বিপর্যস্ত। জল জমার কারণে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলোয় প্রতিদিনই যানজট তৈরি হচ্ছে।
এর মধ্যে সবথেকে খারাপ অবস্থা পুরনিগমের ৩২ নম্বরের ওয়ার্ডের অশোকনগরে।এখানে রাস্তায় প্রায় কোমর সমান জল জমে রয়েছে। বেশ কিছু বাড়িতেও জল ঢুকে গিয়েছে। ফলে চরম সমস্যায় বাসিন্দারা। তাঁদের প্রতিদিনের কাজ করতে গিয়েও হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। দীর্ঘসময় ধরে জল জমে থাকায় বাড়ছে জলবাহিত রোগের আতঙ্কও। কবে এর থেকে সুরাহা মিলবে, জানা নেই কারও।
রাস্তায় জমে জল, জমা জল থেকে ছড়াচ্ছে দূষণ
এই অচলাবস্থার জন্য শিলিগুড়ির কাঠগড়ায় তুলেছে প্রশাসনকেই। তাঁদের অভিযোগ, ‘এই সমস্যা নতুন নয়। দীর্ঘদিনের। প্রশাসন সব জানে। তা সত্ত্বেও চোখ বন্ধ করে রেখেছে। নীরব দর্শকের ভুমিকা পালন করছে প্রশাসনিক আধিকারিকেরা।’ পুর-পরিষেবা ক্ষোভ রয়েছে তাঁদের। অভিযোগ, প্রত্যেকবার ভোটের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা মন্ত্রীরা আসেন। সমস্যা সমাধানের একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতিও দেন। কিন্তু ভোট মিটলে তাঁদের আর দেখা মেলে না। অভিযোগের তির মূলত অশোকনগরের পুর-বোর্ডের বাম কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে।
প্রায় তিন দশকেরও বেশি সময় বাম সরকার এখানে ক্ষমতায় ছিল। তা সত্ত্বেও এই সমস্যার দিকে নজর দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এলাকার পুর-প্রশাসক দায় চাপিয়েছেন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন অবিবেচক সিদ্ধান্তের উপর।
আরও পড়ুন: জলমগ্ন চা বাগান, হাই ড্রেন ছেড়ে সিমেন্টের পোলে উঠে এল লেপার্ড