বীরভূম: একটানা ৭০ ঘণ্টা ধরে অচলাবস্থা বিশ্বভারতীতে। এখনও মেলেনি কোনও সমাধানসূত্র। ফলে ছাত্রবিক্ষোভে এখনও ক্যাম্পাসে আটকে রয়েছেন বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রার, জনসংযোগ আধিকারিক ও জয়েন্ট রেজিস্ট্রার। বন্ধ রয়েছে পঠন-পাঠন। চলছে না প্রশাসনিক কাজও।
হস্টেল খোলাসহ একাধিক দাবিতে সোমবার দুপুর থেকে শুরু হয় বিক্ষোভ। রাতভর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল অফিসে ঘেরাও করে রাখা হয় রেজিস্ট্রার আশিস আগরওয়াল ও ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিককে। বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের অভিযোগ, করোনাবিধি বেশ কিছুটা শিথিল হয়েছে। স্কুল-কলেজ খুলে গিয়েছে। অথচ বন্ধ রয়েছে বিশ্বভারতীর ছাত্রাবাস। তাই হস্টেল খোলাসহ একাধিক দাবিতে সোমবার উত্তাল হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। শুরু হয় ছাত্রদের মিছিল। বন্ধ করে দেওয়া হয় ক্লাস। তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বিভিন্ন দফতরে। অশান্তির আঁচ পেয়ে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে বেরিয়ে গেলেও আটকে পড়েন বহু কর্মী।
পড়ুয়াদের মূলত তিনটি দাবি। প্রথমটি, অবিলম্বে হস্টেল খুলতে হবে। দ্বিতীয়ত, দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে ক্লাস নিয়ে অফলাইনে পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। তৃতীয়ত, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময়সূচি বদল করতে হবে। বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, তাঁদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। সব মিলিয়ে টানা চারদিন ধরে অচলাবস্থা চলছে বিশ্বভারতীতে।
আরও পড়ুন- Viswa Bharati: বিশ্বভারতীতে ম্যারাথন বিক্ষোভ, অসুস্থ কর্মসচিবকে দেখতে ক্যাম্পাসে ডাক্তার