হাওড়া: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশমতো বৃহস্পতিবার স্কুল-কলেজ খোলার দিনই ঝামেলা বাধল বেলুড়ের লালবাবা কলেজে (TMCP Group clashes)। কলেজের সরস্বতী পুজো কাদের দখলে থাকবে তা নিয়ে বিরোধের সূত্রপাত (Lalbaba college clash)। বচসা থেকে হাতাহাতিতে পৌঁছয়। কলেজ চত্বরের মধ্যেই ব্যাপক মারধর করা হয় এক ছাত্রী ও ছাত্রকে (Lalbaba college TMCP clash)। পুলিস এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
কোভিড পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর এদিনই রাজ্যজুড়ে খুলল স্কুল-কলেজের দরজা। সেইমতো বেলুড়ের লালবাবা কলেজেও সকালে এসে হাজির হন ছাত্রছাত্রীরা। কিন্তু, বিপত্তি বাধে শনিবারের সরস্বতী পুজোর দায়িত্ব নিয়ে। কলেজের প্রাক্তন এক ছাত্রনেতা ও তাঁর অনুগামীরা ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করলে বর্তমান পড়ুয়ারা তাঁদের বাধা দেন। তা নিয়েই দুপক্ষের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়।
করোনাকালে কলেজ সংসদের নির্বাচনও হয়নি। মনোনীত সদস্য নিয়ে সংসদ গঠন হলেও এই কলেজে এখনও কমিটি তৈরি হয়নি। কলেজ ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সরস্বতী পুজো নিয়ে বুধবার অধ্যক্ষ সঞ্জয় কুমারের সঙ্গে ছাত্রদের একটি বৈঠক ছিল। সম্প্রতি তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এখানে একটি ইউনিট গড়ে। যে ইউনিটের মাথায় বসানো হয় বালি ব্লক টিএমসিপি-র আহ্বায়ক অভিজিৎ রায়ের ভাই শুভজিৎ রায়কে। অভিযোগ, অধ্যক্ষের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসে হাজির হন। তাতে অধ্যক্ষ টিএমসিপি নেতার সঙ্গে কলেজের সরস্বতী পুজো সম্পর্কিত মিটিংয়ে বসতে অস্বীকার করেন। অধ্যক্ষের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, তখন শুভজিৎ রায় প্রকাশ্যে অশ্লীল গালিগালাজ করেন সঞ্জয় কুমারকে।
কলেজ ছাত্রদের অভিযোগ, এরপর এদিন সকালে টিএমসিপির জেলা সভাপতি তুফান ঘোষের নেতৃত্বে অভিজিৎ রায় ও শুভজিৎ রায় অনুগামীদের কলেজে ঢোকেন। সেখানে ইউনিটের বৈঠক ডাকা হলেও কলেজের বর্তমান সংসদ সদস্যদের অনেককেই ডাকা হয়নি। তা নিয়ে প্রতিবাদ জানান পড়ুয়ারা।
ছাত্রছাত্রীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, সরস্বতী পুজো উপলক্ষে কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি ফান্ড দেয়। মূলত পুজোর খরচের সেই টাকা কাদের দখলে থাকবে, তা নিয়ে ব্যাপক গন্ডগোল শুরু হয়। এনিয়ে বহিরাগতদের সঙ্গে পড়ুয়াদের মারামারি বাধে। খবর পেয়ে পুলিস এসে বিবদমান ছাত্রদের সরিয়ে দেয়। জখম ছাত্রছাত্রীরা বালি থানায় অভিযোগ জানান।
আরও পড়ুন: Howrah: সহ্য করতে না পেরে ৫ বছরের সৎছেলেকে খুন, গ্রেফতার বাবা