পূর্ব বর্ধমান: খুনের ঘটনায় এফআইরে নাম থাকা তৃণমূলে নেতা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন৷ দলীয় কর্মসূচি পালন করছেন৷ তা দেখেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল বিজেপি৷
কয়েকদিন আগে বর্ধমান পৌরসভার খালাসিপাড়া এলাকায় তৃণমূল কর্মী অশোক মাঝি খুন হন। মৃতের পরিবার এবং এলাকার বিদায়ী কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সেলিম তৃণমূলেরই প্রথম সারির নেতা শিবশংকর ঘোষ, আব্দুল রব ও ইফতিকার আহমেদ ওরফে পাপ্পুর বিরুদ্ধে বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ইতিমধ্যেই শিব শংকর ঘোষ গ্রেপ্তার হলেও অন্য দুই অভিযুক্ত আব্দুল রব ও ইফতিকার আহমেদকে পুলিশের নাকের ডগায় বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে। এমনকি বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাসের পাশে বসে আছেন আব্দুল রব। তাঁকে কেন গ্রেপ্তার করা হবে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির আহ্বায়ক। অন্যদিকে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস জানান ব্যক্তিগতভাবে যে কেউ অভিযোগ করতেই পারেন। পুলিশ তার তদন্ত করে দেখছে। এর সঙ্গে দলের কোনও যোগাযোগ নেই।
এলাকা দখল ঘিরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বাধে৷ দফায় দফায় সংঘর্ষে বর্ধমান পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের খালাসি পাড়া এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইসি সুখময় চক্রবর্তীর নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে হাজির হয় বর্ধমান সদর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।
আরও পড়ুন-একটি ক্ষেত্রে ছাড় দিয়ে রাজ্যে বাড়ল করোনা বিধিনিষেধের সময়সীমা
বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই বর্ধমান পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ চলছে। গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে আক্রান্ত হন মণিকা মণ্ডল নামে এক তৃণমূল নেত্রী। সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন-চন্দনাকে ক্ষমা করব না… কাঁদতে কাঁদতে বললেন রুম্পা
৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার মহম্মদ সেলিম বলেন, পুরসভার কাজ সেরে ফেরার সময় খালাসি পাড়া এলাকায় শেখ ইমদাদুল সহ তাঁর লোকজন আমার উপর হামলা চালায়। রড, বাঁশ নিয়ে হামলা চালানো হয়। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের বর্ধমান জেলার সাধারণ সম্পাদক শিবশঙ্কর ঘোষ।