বসিরহাট: সুন্দরবন থেকে ফেরার সময় বাঘের কবলে এক মৎস্যজীবী। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে বাঘটির সঙ্গে প্রবল লড়াই করলেন মৎস্যজীবীর সঙ্গীরা। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। প্রাণে বাঁচাতে পারলেন না তাঁদের সঙ্গীকে।
। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪, পরগনা সন্দেশখালি থানার সুন্দরবনের ঝিলার জঙ্গলের। যদিও মৃতের সঙ্গীরা কিন্তু জীবনের ঝঁুকি নিয়ে তাঁকে বাঁচাতে শেষপরর্যন্ত লড়াই করে ঘাতক বাঘটির সঙ্গে।
জানা গিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কানমারী গ্রাম থেকে একদল মৎস্যজীবী মাছ ধরতে গিয়েছিলেন সাগরে। ফিরে আসার সময় সন্ধ্যে ঘনিয়ে আসে। আর তখনই বাঘের আক্রমণে পরে এই মৎস্যজীবীদলটি। মৎস্যজীবী দলের মধ্যে থাকা বছর পঞ্চাশের অন্ন দাসের ওপর হামলা করে বাঘটি। ছো মেরে জঙ্গলের দিকে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ না পেলেও, পেয়ে গেলেন দ্বিতীয় ডোজের সার্টিফিকেট
যদিও অন্ন দাসের জন্য বাঘটিকে ধরতে ঝাঁপিয়ে পড়েন তাঁর সঙ্গে থাকা সঙ্গীরা। বাঘের সঙ্গে শুরু হয় একদল মৎস্যজীবীর প্রবল লড়াই। জানা গিয়েছে সেই লড়াই বাঘের গায়ের লোম পর্যন্ত ছিড়ে ফেলে মৎস্যজীবী দলটি।
সেই লড়াই যেন একেবারে সিনেমার দৃশ্যের থেকে রোহমর্ষক হয়ে ওঠে। যদিও সেই লড়াইয়ে শেষ রক্যষা আর হল না। লড়াইয়ের পর দূর্ভাগ্যবশত আর অন্ন দাসকে বাঁচাতে পারেন নি তাঁর সঙ্গীরা।
আরও পড়ুন: পাচারের আগেই ট্রেনের কামরা থেকে উদ্ধার ২৫০ টি টিয়া
এই ঘটনায় প্রশ্ন হচ্ছে এই মৎস্যজীবীরা আদৌ জঙ্গলের বিধি-নিষেধ মেনে বাফার জোন থেকে কোর জনে ঢুকে ছিল কিনা। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে বনদফতর। মৎস্যজীবীর মৃত্যুতে গ্রামে শোকের ছায়া নেমেছে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।