রামপুরহাট: বীরভূম জেলার রামপুরহাটের হিংসার পিছনে (Rampurhat political violence) বৃহত্তর ষড়যন্ত্র দেখছেন ফিরহাদ হাকিম (Rampurhat Violence Firhad Hakim)৷ তাঁর বক্তব্য, বাংলার সরকারকে বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে৷ মঙ্গলবার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করার পর এমনটাই বললেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ৷ তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ‘‘ এই বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের (Rampurhat political violence) তদন্ত করতে (Political Violence) রাজ্য সরকার সিট গঠন করেছে৷ রাজ্য পুলিসের ডিজি-সহ পদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে আসছেন৷ ঘটনায় (Birbhum Rampurhat Fire Deaths) যারাই জড়িত থাকুক না, শাস্তি তাদের হবেই৷’’
তৃণমূল নেতা খুনের পর অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে বীরভূমের রামপুরহাট। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, অনুব্রত মন্ডল, বীরভুমের জেলা তৃণমূল সভাপতি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ফিরদাহ হাকিম। তিনি বলেন, আগুনে পুড়ে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ পরিবারগুলির সঙ্গে কথা হয়েছে৷ আমরা, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার পরিবারগুলিকে সব রকম ভাবে সাহায্য করবে৷ আমরা ভাইয়ের মতো পরিবারগুলির পাশে আছি৷ যারা মারা গিয়েছেন, তাঁদের তো ফিরিয়ে দিতে পারব না, তাই সব রকমভাবে তাদের পাশ থাকব আমরা৷’’
রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের অভিযোগ, তৃণমূল নেতাকে খুন করে, দলের কর্মীদের বাড়িতে আগুন দিয়ে, উলটে বাংলার বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে। যে বা যারাই জড়িত থাক, পুলিসকে বলা হয়েছে ব্যবস্থা নিতে। উচ্চপর্যায়ের তদন্ত হবে। রামপুরহাটের ঘটনায় ইতিমধ্যে তিন সদস্যের সিট গঠন করেছে রাজ্য সরকার। সিটের নেতৃত্বে রয়েছেন এডিজি-সিআইডি জ্ঞানবন্ত সিং। এ দিনই রামপুরহাটে যাচ্ছেন ডিজি মনোজ মালব্য।
আরও পড়ুন- Rampurhat Violence: ভাদুর দাদা খুনেও পুলিস কিছু করেনি, ক্ষোভ উগরে দিলেন সদ্য পুত্রহারা মা
রামপুরকাণ্ড নিয়ে দিনভর উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। বীরভূমের বগটুই গ্রামের ঘটনাকে গণহত্যা বলে আখ্যা দিয়েছে বিজেপি। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ইতিমধ্যে রাজ্যপালেরও দ্বারস্থ হয়েছে বিরোধী দল। রাজ্যপালের মাধ্যমে রাজ্যে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের আর্জিও তাঁরা জানাবেন বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। অমিত শাহের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার বিশদ রিপোর্ট তলব করেছে।