বালুরঘাট : এক দিকে অগ্নিমূল্য বাজার, তার উপরে মিলছে না দাম। তাই এবার দীপাবলির প্রদীপের চাহিদা থাকলেও যোগান দিতে পারছেন না কুমোর বাড়ির সদস্যরা। তাই বালুরঘাট শহরের ডাঙা অঞ্চলে সুদেব চন্দ্র পাল প্রদীপ ছেড়ে এখন মাটির হাড়ি বানানোর কাজেই মন দিয়েছেন।
দীপাবলি এলেও বাজারে এই প্রদীপ তাঁদের বিক্রি করতে হয় জলের দরে। ধীরে ধীরে সব জিনিসের দাম বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে তেলের দাম। যে কারণে কপালে ভাঁজ পড়েছে কুমোর বাড়ির শিল্পীদের। কুমোর পরিবারের সদস্য মিনতি পাল জানালেন, জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও বাড়েনি প্রদীপের দাম। কিন্তু তেলের অগ্নিমূল্যের কারণে অনেকেই হয়তো এ বছর আর প্রদীপ জ্বালাবেন না। যে কারণে এবারে আর প্রদীপ বানাচ্ছেন না তাঁরা। তার জায়গায় এবার ধুনুচি, ঘট, গাছা বানাতে ব্যস্ত তাঁরা। কিন্তু বাজারে প্রদীপের চাহিদা থাকলেও তাঁরা বানাচ্ছেন না কেন ? এর উত্তরে সুদেব চন্দ্র পাল জানান, বাজারে চাহিদা থাকলেও, সেই চাহিদা অনুযায়ী দাম পাচ্ছেন না তাঁরা। সব জিনিসের দাম বেড়েছে, অথচ প্রদীপের দাম বাড়েনি। তাই এবার প্রদীপের উপর খুব বেশি জোর দিচ্ছেন না কুমোর পরিবার। বাজারে এই মুহূর্তে বিদেশি বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবসাও রমরমা। যে কোনও পুজোর সময় দেখা যায়, পুজোর মণ্ডপ থেকে শুরু করে বাড়ি সাজানো হয় বৈদ্যুতিক বাতি দিয়ে। বাঙালির দীপাবলির সময় প্রদীপের ব্যবহার প্রায় ভুলতে বসেছে। এই পরিস্থিতিতে প্রদীপ থেকে আর কোনও লেভার আশা দেখেন না বালুরঘাটের এই কুমোর পরিবার।
আরও পড়ুন : শব্দবাজি ফাটানোর প্রতিবাদ করায় আক্রান্ত মহিলা আইনজীবী