ক্যানিংঃ মিনি ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে গিয়ে শ্লীলতাহানির শিকার হলেন এক মহিলা। এই ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে মূল অভিযুক্ত বাপি নাইয়া ওই মহিলাকে বেধড়ক মারধোর করে। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থানার দক্ষিণ অঙ্গদবেরিয়া গ্রামে। নির্যাতিতা মহিলা এ বিষয়ে তাঁর পরিবারের সদস্য ও এলাকার মানুষকে জানায়। স্থানীয়রা অভিযুক্ত বাপ্পাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরে গ্রামবাসীদের প্রশ্নের মুখে পরে ঘটনার কথা স্বীকার করে নেয়। সে ওই স্থান ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু গ্রামবাসীরা তাকে ধরে ফেলে। এরপর অভিযুক্ত বাপ্পা ও তার দাদা বাপিকে বেধড়ক মারধর করেন উত্তেজিত গ্রামবাসী। স্থানীয় একটি ক্লাব ঘরে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখা হয় তাদেরকে। এ বিষয়ে ক্যানিং থানায় জানালে, রাত ২টো নাগাদ ক্যানিং থানার পুলিশ গিয়ে ২ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। নির্যাতিতা মহিলা রাতেই এ বিষয়ে ক্যানিং থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন : হাসপাতালে অসুস্থ তরুণীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ, তীব্র চাঞ্চল্য
পুলিশ ও স্থানীয় মানুষের দাবি, এলাকায় ব্যাঙ্কের কাস্টোমার সার্ভিস পয়েন্ট চালায় মূল অভিযুক্ত বাপ্পা নাইয়া। সেখানেই সোমবার সন্ধ্যায় শাশুড়িকে সঙ্গে নিয়ে ৫০০ টাকা তুলতে গেলে ওই মহিলার শ্লীলতাহানি করে অভিযুক্ত। এর আগেও একাধিকবার তাঁকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিল অভিযুক্ত। এছাড়া গ্রামের আরও বেশ কিছু মহিলার সঙ্গেও এই ধরনের অসভ্যতা করার অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। তবে সোমবারের ঘটনায় এলাকার মানুষ উত্তেজিত হয়ে অভিযুক্তকে ধরে বেধড়ক মারধোর করে। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকার মানুষ।