বসিরহাট : মেধাবী ছাত্র ছিল ১৬ বছরের দীপ সাঁধু। কিন্তু বাড়িতে ছিল অভাব-অনটন। সেই অনটনের কারণে কী মৃত্যুর পথ বেছে নিল স্কুল পড়ুয়া দীপ। তার মৃত্যুর তদন্তে নেমে এমনটাই অনুমান হাড়োয়া পুলিশের।
বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়া থানার হাড়োয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের আটঘরা গ্রামের বাসিন্দা দীপ সাঁধু। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হাড়োয়া বয়েজ স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল ১৬ বছরের দীপ। স্কুলে মেধাবী ছাত্র হিসাবে পরিচিত ছিল সে। শুক্রবার রাতে বাবা ও মায়ের সঙ্গে একসঙ্গে বসে রাতের খাবার খায় সে। খাওয়া হয়ে গেলে নিজের ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। এরপর শনিবার ভোরে ছেলে ঘুম থেকে ওঠেনি দেখে ডাকাডাকি শুরু করে পরিবারের লোকজন। এত ডাকাডাকি সত্ত্বেও দরজা খুলছে না দেখে সন্দেহ হয় পরিবারের। এরপর দরজা ভাঙলে দেখা যায়, ঘরের মধ্যে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে দীপের দেহ। তাকে উদ্ধার করে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন : বসিরহাটে ঋতু পরিবর্তনের কারণে অজানা জ্বর, দাবি চিকিৎসকদের
দীপের বাবা মন্টু সাঁধু পেশায় একজন ভ্যান চালক। অভাব-অনটনের মধ্যেই সংসার চলত তাঁর। এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে হাড়োয়া থানার পুলিশ। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দীপের এই মৃত্যু অভাব-অনটনের কারণে না, এর পেছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে সেটাও খতিয়ে দেখছে হাড়োয়া থানা পুলিশ।