শান্তিনিকেতন: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আন্দোলন প্রত্যাহার করলেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়া, অধ্যাপকরা। অবস্থান মঞ্চ খুলে নেওয়া হচ্ছে। তবে কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার ক্লাস করার সুযোগ দেওয়া হল না বহিষ্কৃত তিন ছাত্র-ছাত্রীকে।
কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বা বাইরে কোনও আন্দোলন কর্মসূচি চালানো যাবে না। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে অবস্থান মঞ্চের প্যান্ডেল খুলে নিচ্ছেন আন্দোলনরত অধ্যাপক, পড়ুয়ারা।
বহিষ্কৃত তিন পড়ুয়াকে বৃহস্পতিবার থেকে ক্লাস করতে দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ওই পড়ুয়াদের পঠন-পাঠনের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে দেওয়ার কথাও বলা হয়। আদালতের নির্দেশের ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও উদ্যোগই নেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীর ছাত্রদের বহিষ্কারে স্থগিতাদেশ, আদালত বলল ‘লঘু পাপে গুরু দণ্ড’
ওই তিন পড়ুয়াকে কোনও চিঠি দেওয়া হয়নি। কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও ফোন-ইমেলও করা হয়নি। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলেছেন অনেকে। পড়ুয়া, অধ্যাপকরা আন্দোলন প্রত্যাহার করায় বেশ কিছুদিন অশান্ত থাকা শান্তিনিকেতনে ধীরে ধীরে শান্তি ফিরছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ছাত্রছাত্রীরা অবস্থান স্থলের চেয়ার, টেবিল এবং প্যান্ডেল সরাতে শুরু করেন। অবস্থান বিক্ষোভ আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। ক্লাস করার জন্য বিশ্বভারতীর ছাত্র পরিচালকের কাছে আবেদন করেছেন বহিষ্কৃত পড়ুয়ারা।
১২ জন অধ্যাপক-অধ্যাপিকাকে আগেই সাসপেন্ড করেছিল বিশ্বভারতী। এছাড়াও অর্থনীতি এবং সংগীত বিভাগের মোট ৩ জন পড়ুয়াকে ৬ মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল। পরবর্তীতে সাসপেনশনের মেয়াদ বর্ধিত করা হয়। সম্প্রতি তিন পড়ুয়াকে ৩ বছরের জন্য বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামেন পড়ুয়ারা।
আরও পড়ুন: উপাচার্য বিতর্কে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি বিশ্বভারতীর অধ্যাপক সংগঠনের