শিলিগুড়ি: ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধসের কারণে দীর্ঘক্ষণ রাস্তা বন্ধ থাকার পর স্বাভাবিক হল পরিষেবা। সোমবার দুপুরে দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক জানান, সেনাবাহিনীর দীর্ঘ চেষ্টার পর জাতীয় সড়কে ধস সরিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। তিনি আরও জানান, জাতীয় সড়কে করোনেশন ব্রিজ এবং ৫৫ নম্বর ন্যাশনাল হাইওয়ের কাছে প্রবল ধসে অনেকক্ষণ ধরেই যানজটের সৃষ্টি হয়। কার্শিয়াংয়েরও বিভিন্ন জায়গায় ধস নামে। এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর মেলেনি।
রবিবার রাতে প্রবল বৃষ্টিপাতের জেরে ধস নামে দার্জিলিং জেলার সেবকের বাকপুল ও কালিঝোরার মাঝের ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে। শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং ও সিকিমের যোগাযোগ ব্যবস্থা দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকে। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়।
গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে গোটা উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন নদীতে জলস্তর ক্রমশ বাড়ছে। ডুয়ার্সেরও বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন। গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়েই ছোট-বড় ধস নেমেছে। কয়েক দিন আগেও ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নামায় শিলিগুড়ি থেকে সিকিমের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল।
এদিন সকালেই তিস্তা ব্যারেজ থেকে ২৩৮৩.৪৬ কিউসেক জল ছাড়ায় তিস্তা নদীর জলস্তর বেড়ে গেছে। তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সংকেত জারি করেছে সেচ দফতর। একইসাথে তিস্তা নদীর সংরক্ষিত এলাকায় দোমহনী থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত জারি করা হয়েছে হলুদ সংকেত।
আরও পড়ুন: Agnipath: বিরোধীদের ভারত বনধে কোথায়, কী ঘটল
ক্রমাগত বৃষ্টিপাতের ফলে শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় বালাসন সেতুর পাশে তৈরি রাস্তা ও হিউম পাইপ দিয়ে তৈরি অস্থায়ী ব্রিজ সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হল। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওই পথ দিয়ে যানবাহন চলাচল। গত কয়েকদিন ধরে নাগাড়ে বৃষ্টিপাতের ফলে মহানন্দা সহ বালাসন নদীতেও আনেকটাই জলস্ফীতি হয়েছে।