সামসেরগঞ্জ: আগামী ২১ শে জুলাই ঈদ উল আধার বা বকরি-ঈদের নমাজ ঈদগাহে হবে না। করোনা পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতেই নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। শুক্রবার এক বিবৃতিতে এমনটাই ঘোষণা করল রাজ্যের তৃতীয় বৃহত্তম তথা মুর্শিদাবাদের সবচেয়ে বৃহৎ ঈদগাহ কমিটি সামসেরগঞ্জের লোহরপুর। গত বছরও করোনার কারণে নমাজ ঈদগাহে হয়নি। এবারও বন্ধ থাকবে মুসলিমদের অন্যতম বৃহত্তম উৎসব ঈদ উল আধা।
আরও পড়ুন: মাইগ্রেশন না পেয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ
ঈদ উল আধা সাধারণভাবে বকরি ঈদ নামেও পরিচিত। মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য এই ঈদ। একে আত্মবলিদানের উত্সবও বলা হয়ে থাকে। ইসলামিক ক্যালেন্ডার হিজরির শেষ মাস ধু আল হিজার দশম দিনে পালিত হয় ঈদ উল আধা বা বখরি ঈদ। রমজান মাস শেষ হবার মোটামুটি ৭০ দিন পর বকরি-ঈদ পালন করা হয়। সৌদি আরবে বকরি ঈদ পালনের একদিন পরে ভারতে এই উত্সব পালিত হয়। এই দিন সকালে নামাজ পড়ার পরে মুসলমানরা পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন।
আরও পড়ুন: মঙ্গলকোটে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় তদন্তে সিআইডি
ঈদের জমায়েত না হলেও পাড়ায় নিজেদের মতো করে নমাজ পড়ার কথা বলা হয়েছে এলাকাবাসীকে। ঈদগাহ কমিটির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে প্রশাসন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। রাজ্যের তৃতীয় বৃহত্তম তথা মুর্শিদাবাদের সব থেকে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জ ব্লকের লোহরপুর ঈদগাহ ময়দানে। প্রথম কলকাতার রেড রোড আর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মালদার সুজাপুর ঈদগাহ। এরপরেই মুর্শিদাবাদের এই বৃহত্তম ঈদগাহে মুসলিম সম্প্রদায়ের ঢল নামে। আগামী বুধবার, ২১ শে জুলাই ঈদ উল আধা। সেই জন্য শুক্রবার ঈদগাহ কমিটির বিশেষ বৈঠক ডাকা হয়। সেখানেই সরকারের বিধি নিষেধকে মান্যতা দিয়ে এবং কোভিড পরিস্থিতির কারণে এই বকরি ঈদের নমাজ ঈদগাহে না পড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।