বোলপুর: জুলাই মাসের ৫ তারিখ হয়ে গেলেও বেতন হয়নি বিশ্বভারতীর অধ্যাপক, আধিকারিক ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের। অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বেতন বন্ধ করে রেখেছেন তাঁদের। তাই উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে রাষ্ট্রপতির দারস্থ হলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: গেট রেডি, সামনেই সেঞ্চুরি
বিশ্বভারতীর অধ্যাপক সংগঠন ভিবিউএফএ জানিয়েছে, প্রতি মাসের শেষ দিনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত কর্মচারীদের বেতন হয়ে যায়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত জুলাই মাসের বেতন হয়নি বিশ্বভারতীতে। এই ঘটনা বিশ্বভারতীর ইতিহাসে নজিরবিহীন। বিশ্বভারতীর অধ্যাপক সংগঠনের দাবি, উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বড় অংশের অধ্যাপক ও কর্মীরা সরব হয়েছেন। সেই জন্য উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে কর্মী অধ্যাপকদের বেতন বন্ধ করে দিয়েছেন। বার বার বলাও হলেও কোনও উত্তর মেলেনি। তাই এবার বিশ্বভারতীর আচার্য তথা দেশের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, রাজ্যপাল, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন এবং কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের দফতরে ইমেল মারফত অভিযোগ জানিয়েছেন বিশ্বভারতীর অধ্যাপক সংগঠন।
আরও পড়ুন: হতে পারে মৃত্যু! এড়িয়ে চলুন ‘রেডি টু কুক’
করোনা দুর্মূল্যের বাজারে যখন সাধারন মানুষ অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে এই অবস্থায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বেতন না দেওয়ায় ক্ষোভের আগুন ফুঁসছে কবিগুরুর কর্মভূমি শান্তিনিকেতন। তাঁদের প্রাপ্য না মেটালে তাঁরা বড়সড় আন্দোলনে নামবেন বলে জানিয়েছেন এদিন। অন্যদিকে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি।