বহরমপুর: স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ২০০৷ ছাত্র সংখ্যার অনুপাতে স্কুলে যত শিক্ষক থাকার কথা মুর্শিদাবাদের চৈৎপুর জুনিয়র হাইস্কুলে গত সপ্তাহ পর্যন্ত শিক্ষক ছিলেন সাকুল্যে মাত্র দু’জন৷ তাঁদের একজন ট্রান্সফার নিয়ে অন্যত্র চলে গিয়েছেন৷ সোমবার সেই খবর জানাজানি হতেই একরাশ বিরক্তি প্রকাশ করেন অভিভাবকরা৷ এমনিতেই শিক্ষকের অভাবে স্কুলে শিকেয় উঠেছে পঠনপাঠন৷ ঠিক মতো পড়াশোনা হচ্ছে না বলে অভিযোগ পড়ুয়াদের৷ এই পরিস্থিতিতে মাত্র একজন শিক্ষক দিয়ে স্কুল চলবে কী করে সেই প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকরা৷ স্কুলে শিক্ষকের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি তুলেছে পড়ুয়ারা৷
কয়েক বছর আগে পর্যন্ত মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার চৈৎপুর জুনিয়র হাইস্কুলের পঠন-পাঠন ব্যবস্থা এতটাও খারাপ ছিল না৷ কিন্তু করোনার পর স্কুল থেকে ট্রান্সফার নিয়ে অন্যত্র চলে যান একাধিক শিক্ষক৷ বর্তমানে স্কুল সামলাচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সৌকত পাল৷ কিন্তু একা হাতে স্কুল সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি৷ পড়ুয়াদের অভিযোগ মেনে নিয়ে সৌকত পাল বলেন, ‘তিন বছরে তিনজন শিক্ষক চলে গিয়েছেন৷ বর্তমানে আমার উপর সব দায়িত্ব এসে পড়েছে৷ আমি ক্লাস নিতে অভ্যস্ত৷ কিন্তু ঠিকমতো ক্লাসই নিতে পারছি না৷ সরকারি কাজের চাপ রয়েছে৷ ব্যাঙ্কে ছোটাছুটি করতে হচ্ছে৷ স্বাভাবিক পঠন-পাঠন বিঘ্নিত হচ্ছে৷’
স্কুলের যখন এমন অবস্থা তখন পড়ুয়াদের নাকি টিসি নিয়ে অন্য স্কুলে চলে যেতে বলা হচ্ছে৷ অভিযোগ কোনও কোনও অভিভাবকের৷ যদিও অভিযোগ উড়িয়ে সৌকত পাল বলেন, ‘স্কুলের তরফে টিসির কথা কখনই বলা হয়নি৷ আসলে স্কুলে নিয়মিত ক্লাস হচ্ছে না৷ পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের ব্যাপার রয়েছে৷ তারা নিজেদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিতে পারে৷’ কিন্তু অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের এই স্কুলেই পড়াতে চান৷ তাই স্কুলকে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরিয়ে আনতে অভিভাবকরা সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন৷ এক পড়ুয়ারা বাবা জয়ন্ত রায় বলেন, ‘দিদির কাছে অনুরোধ যাতে স্কুলটা চালু থাকে৷ স্কুল বন্ধ হয়ে যাক আমরা চাই না৷’ এদিন অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে স্কুলে শিক্ষকের বন্দোবস্ত করার আশ্বাস দিয়েছেন বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা৷
আরও পড়ুন: Durgapur Hospital: বৃদ্ধার মৃত্যু, দুর্গাপুরে বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ