ডায়মন্ড হারবার : গড়িয়াহাটের জোড়া খুনের ঘটনায় ৭২ ঘণ্টা জেরা করার পর আটক করা হয় বাড়ির পরিচারিকাকে। পুলিশ জানিয়েছে, আটক ওই পরিচারিকার নাম মিঠু হালদার। ডায়মন্ড হারবারে থাকেন ওই মহিলা। কলকাতায় চাকী পরিবারে পরিচারিকা ও আয়ার কাজ করেন তিনি। সুবীর চাকী যখন কর্মসূত্রে কলকাতার বাইরে থাকতেন তখন তাঁর মায়ের দেখভাল করতেন মিঠু।
আরও পড়ুন : গড়িয়াহাটে জোড়া খুনে নয়া মোড়, আটক চাকী পরিবারের পরিচারিকা
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এর আগেও মিঠু হালদারের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। ভগবানপুরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিধবার পরিচয় দিয়ে বাড়ি ভাড়া নেন মিঠু হালদার ও তাঁর পরিবার। ২০২০ সালের ১২ ডিসেম্বর স্বামীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ওই মহিলাকে। ভাই তরুণ হালদার ও ছেলে বিলাশ হালদারকে সঙ্গে নিয়ে নিজের স্বামীকে খুন করার চেষ্টা করেন তিনি। হাত পা মুখ সেলোটেপ দিয়ে পেঁচিয়ে খুন করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। কলকাতা টিভির ডিজিটালের হাতে এসে পৌঁছেছে পুরনো সেই ফুটেজ। আপাদমস্তক দড়ি দিয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখেই টাকা পয়সা নিয়ে ঘর ছেড়েছিলেন তাঁরা। পরের দিন সকালে প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন মিঠু হালদারের স্বামীকে। এই ঘটনার জেরে গ্রেফতার করা হয় ওই মহিলাকে। পরে ছাড়া পান তিনি। বুধবার সুবীর চাকীর খুনের ঘটনায় ডায়মন্ড হারবারের কপাট হাট থেকে গ্রেফতার করা হয় মিঠুকে। আজই তাঁকে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন : রহস্যের জাল গুটিয়ে আনছে লালবাজার, গড়িয়াহাট জোড়া খুনে চিহ্নিত মূল অভিযুক্ত
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করছে, সুবীর এবং রবীন খুনের ঘটনায় মিঠুর যোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, মিঠু-সহ তাঁর ছেলে এবং ছেলের তিন বন্ধুর ভূমিকাও রয়েছে বলে অনুমান গোয়েন্দাদের। পুলিশ মনে করছে, কাঁকুলিয়া রোডের ওই বাড়ি বিক্রির প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন মিঠুর ছেলেও। সুবীরের ওই বাড়ি বিক্রির জন্য তিনিও বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রেতা নিয়ে আসতেন। সম্ভবত বাড়ি বিক্রি সংক্রান্ত কোনও চুক্তি নিয়ে মিঠুর ছেলের সঙ্গে সুবীরের গন্ডগোল হয়। সেই কারণেই খুন করেছে মিঠুর ছেলে, এমনই ধারণা তদন্তকারীদের। ইতিমধ্যেই ওই বাড়ি কেনার ইচ্ছেপ্রকাশ করা ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করেছেন গোয়েন্দারা। তাঁদের বুধবারই লালবাজারে ডেকে পাঠানো হয়েছে।