আসানসোল: শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতিতে সব থেকে বেশি টাকা খেয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বেআইনী নিয়োগ বাতিলের দাবিতে পথে নেমে এমনটাই অভিযোগ করলেন ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। এদিনের মিছিল ঘিরে শুরু হয় উত্তেজনা। ঘটনাস্থলে আসে পুলিস।
এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে যখন রাজ্য-রাজনীতি তোলপাড়। তখন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। তাঁর অপসারণের দাবিতে যখন কলকাতা জুড়ে বিরোধীদের মিছিল চলছে। তখন ওই একই অভিযোগে ‘চোর ধরো জেলে ভরো’ এই স্লোগান কে সামনে রেখে সিপিএমও আসানসোলের দোমহানি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে সামনে থেকে মিছিল করে। বিশ্ববিদ্যালয় গিয়ে মিছিলটি শেষ হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়য়ের ভেতরের প্রবেশ দ্বারে বিক্ষোভ অভিযানের ঘিরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে হাঁড়ি ভেঙে অভিনব প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
এদিনের ঘেরাও অভিযান কর্মসূচিতে ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, সিপিএমের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়, সিপিএম নেতা পার্থ মুখোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা উপস্থিত ছিলেন। মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, কোনও চুরি বা দুর্নীতি একা কেউ করতে পারে না। এই যে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করেছে, ওই টাকার বিষয়ে কি মুখ্যমন্ত্রী জানতেন না । তা কি কেউ মানবে?
অন্যদিকে, মিঠুন চক্রবর্তী সঙ্গে তৃণমূলের ৩৮ জন বিধায়ক যোগাযোগ রাখছেন। সবার আগে টাকা খেয়েছে শুভেন্দু অধিকারী। প্রথমে শুভেন্দু অধিকারীকে আগে দল থেকে বার করুক তারপর তিনি এই কথা বলবেন। শুভেন্দু অধিকারী এই তৃণমূলের রাজত্বে জঙ্গলমহলে কি না করেছেন আর সেই শুভেন্দু অধিকারী এখন বিজেপিতে।