বসিরহাট: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বসিরহাট কলেজের এক ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে৷ শুধু তাই নয়, অভিযোগ, সেই মুহূর্তগুলি ক্যামেরাবন্দি করে পরে সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেয় ছেলেটি৷ বিষয়টি জানাজানি হতেই অপমানে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় মেয়েটি৷ দ্বগ্ধ অবস্থা প্রথমে তাঁকে মিনাখাঁ গ্রামীণ হাসপাতাল ও পরে কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ শুক্রবারই চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে মারা যায় কলেজ ছাত্রীটি৷ এদিকে ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত৷
আরও পড়ুন: জমি মাপতে এসে ধূপগুড়িতে স্থানীয়দের বাধার মুখে সরকারি কর্মীরা
এই ঘটনার পরই যুবকের বিরুদ্ধে মিনাখাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করে মেয়েটির পর৷ তাকে খুঁজছে পুলিশ৷ জানা গিয়েছে, বছর খানেক আগে বসিরহাট কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রীর সঙ্গে ২৬ বছরের হাবিবুল্লাহ গাজির পরিচয় হয়৷ তার পর থেকে দু’জনের মধ্যে প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে৷ পুলিশের কাছে অভিযোগে মেয়েটির বাবা জানিয়েছেন, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছেলেটি তাঁর মেয়ে টাকি গেস্ট হাউসে নিয়ে গিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে৷ তখন মেয়ের একাধিক অশ্লীল ভিডিও বানিয়ে রাখে৷
আরও পড়ুন: পারিবারিক অশান্তির জের, স্বামী ও মেয়েকে কোপাল মহিলা
এদিনে বেশ কয়েকদিন ধরে মেয়েটি তাঁর প্রেমিককে বিয়ের কথাবার্তা বলার জন্য চাপ দিতে থাকে৷ কিন্তু ছেলেটি তাতে কান দিত না৷ তার পর একদিন কলেজ ছাত্রীটি জানতে পারে তাঁর অশ্লীল ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল৷ সেই ভিডিও সামনে আসার পরই পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুমহলে অপমানিত হতে হয় মেয়েটিকে৷ সেই অপমানের জ্বালা সহ্য করতে না পেরে গত সোমবার গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সে৷