মালদহ: বিহারে কাজ করতে যাওয়া বাংলার পরিযায়ী শ্রমিককে গুলি করে খুন করা হল। খবর পেয়েই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান স্থানীয় বিধায়ক তাজমুল হোসেন। সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া ছাড়াও বিজেপশাসিত রাজ্য বিহারের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সরব হলেন তিনি। যদিও রাজ্যে কর্মসংস্থান নেই বলে পাল্টা কটাক্ষ বিজেপির।
মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের কাওয়ামারি গ্রামের শামিম আক্তার। এলাকায় জামাল নামেই পরিচিত। বাড়িতে সে ছাড়াও তিন ভাই এবং এক বোন। রয়েছে স্ত্রী, কন্যা এবং বৃদ্ধা মা। অভাবের সংসার। হরিশ্চন্দ্রপুরে গাড়ি চালাতেন তিনি। কিন্তু লকডাউনে তেমন ভাড়া না পাওয়ায় বিহারের পাটনার কারমালিচক বাইপাস এলাকায় যান। সঙ্গে আশপাশের এলাকার আরও কয়েকজন ছিলেন।
তিনদিন পর তাঁর বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু আর ফেরা হল না। গতকাল রাতে কাজ থেকে ফেরার সময় কেউ বা কারা শামিমকে গুলি করে। জানা যায়, তাঁর শরীরে তিনটি গুলি লেগেছে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবার সূত্রে জানা যায়, শামিম অত্যন্ত শান্ত স্বভাবের ছেলে ছিল। কারও সঙ্গে ঝামেলা ছিল না। তাই কারা তাকে খুন করল বুঝতে পারছেন না পরিবারের লোকজন। তবে খুনিদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন শামিমের মা, ভাই, স্ত্রী সকলেই। এই মুহূর্তে অভাবের সংসার চলবে কী করে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তাঁরা। যদিও আর্থিক দিক থেকে শুরু করে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন বিধায়ক তাজমুল।
মৃতের ভাই মাহবুব আলম বলেন, গতকাল ফোন আসে আমার দাদার ছিনতাই হয়েছে এবং তাকে মারধর করা হয়েছে। খবর শুনে আমরা গাড়ি নিয়ে রওনা দিই। তারপর ফোন আসে তাকে গুলি করে মারা হয়েছে। যারা করেছে তাদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। মা রাহেলা বেওয়া বলেন, বুঝতে পারছি না কারা এরকম করল। দোষীদের শাস্তি চাইছি। স্ত্রী শাহনারা খাতুন বলেন, ১৮ দিন আগে আমার স্বামী কাজ করতে গিয়েছিল। তিনদিন পরে আসার কথা ছিল। কিন্তু তার মাঝেই এরকম ঘটনা ঘটে গেল। বিজেপির জেলা সম্পাদক কিষান কেডিয়া বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। আসলে এই রাজ্যে কর্মসংস্থান নেই, তাই এখানকার বেকারদের ভিন রাজ্যে কাজ করতে যেতে হচ্ছে।