শিলিগুড়ি: দার্জিলিংয়ে মোট ১৩টি আসনে প্রার্থী দিচ্ছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। আগেই মোর্চা প্রধান বিমল গুরুং ন’টি আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছিলেন। সোমবার তিনি বাকি চারটিরও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। মোট ৩২ আসনের দার্জিলিং পুরসভায় তৃণমূল লড়াই করছে ১০টি আসনে। মোর্চা এবং তৃণমূলের মধ্যে সেরকমই সমঝোতা হয়েছে।
তৃণমূল নেতা গৌতম দেব এবং অরূপ বিশ্বাস এদিন বিকেলে ১০টি আসনের জন্য তাদের প্রার্থীর নাম জানিয়ে দিয়েছেন। অনীত থাপার দল ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা ৩২টি আসনেই প্রার্থী দিচ্ছে। অনীত ইতিমধ্যে তাঁদের দলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিয়েছেন। অনীতের দল অমর লামাকে চেয়ারম্যান মুখ হিসেবে সামনে এনেছে। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে, বাকি ন’টি আসন কাদের জন্য ছেড়ে রাখা হল।
২০১৭ সালে পাহাড়ের অন্য তিনটি পুরসভার সঙ্গে দার্জিলিং পুরসভারও ভোট হয়। সেই সময় বিমল গুরুংয়ের নেতৃত্বে দার্জিলিং, কালিম্পং ও কার্শিয়াং পুরসভা গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা দখল করলেও মিরিক পায় তৃণমূল কংগ্রেস।
এরপরেই শুরু হয় পাহাড়ে অশান্তি। বিমল গুরুংয়ের সঙ্গ ছেড়ে অনীত ও বিনয় তামাং এক হয়ে যান। টালমাটাল পরিস্থিতিতে ২০১৯ সালে দার্জিলিং পুরসভা ভেঙে দেয় সরকার। তারপর থেকে প্রশাসক বসিয়ে কাজ চলছিল দার্জিলিংয়ে। পাহাড়ের তিন পুরসভার মেয়াদ এখনও রয়েছে। তাই সেগুলিতে ভোট হচ্ছে না। দার্জিলিংয়ের বোর্ড যেহেতু ভেঙে দেওয়া হয়েছিল, তাই সেখানে ভোট হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি।
আরও পড়ুন- WB Civic Polls: বালুরঘাটে প্রার্থী-বিক্ষোভ সামাল দিতে বৈঠকে মন্ত্রী
পাহাড়ের প্রধান শক্তি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা এখন নানা ভাগে বিভক্ত। বিগত বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় এলেও তার পিছনে ছিল বিমল গুরুংয়ের শক্ত সমর্থন। বিমল গুরুং বা অনীত থাপারা এই মুহূর্তে তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় পাহাড়ে বিজেপির শক্তি অনেকটাই কমেছে। এই অবস্থায় দার্জিলিংয়ে কে কার সঙ্গে জোট করবে, তা নিয়ে নানা চর্চা চলছিল।
তৃণমূল এবং গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা জোট বেঁধে লড়বে কি না তা এখনও পরিষ্কার নয়। দুই দলের নেতারাই তা নিয়ে এদিন কোনও মন্তব্য করতে চাননি। অরূপ বিশ্বাস, গৌতম দেব এবং বিমল গুরুং তিন জনই জানান, নিজেদের প্রার্থীদের জিতিয়ে আনাই তাঁদের প্রধান লক্ষ্য।