মেদিনীপুর: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পুনরায় আয়াদের তাণ্ডব নিয়ে বিক্ষোভ রোগীর পরিবারের লোকজনদের। মেডিক্যাল কলেজের ‘মাতৃমা’ বিভাগে আয়া সিন্ডিকেটে মোটা টাকা না দিলে হচ্ছেনা চিকিৎসা। অভিযোগ উঠেছে ছুটি হয়ে যাওয়ার পর আয়াদের দাবিমতো টাকা না দিলে আটকে রাখা হচ্ছে বাচ্চা। আর এই ঘটনার জেরেই রবিবার বিকেলে তীব্র উত্তেজনা দেখা যায় হাসপাতাল চত্বরে।অভিযোগ, হাসপাতালের আয়া ও নার্সদের মিলিত সংযোগে এই সিন্ডিকেট চলছে পাশাপাশি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সব জানলেও এই বিষয় নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করছে না বলেই অভিযোগ রোগীদের পরিবারের।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং এলাকার এক প্রৌঢ়ার অভিযোগ, তাঁর পরিবারের এক সদস্যা প্রসূতি ভর্তি করার পর স্যালাইন দেওয়া হলেও আয়া না নিয়োগ করায় পুনরায় স্যালাইন খুলে দেওয়া হয়েছে। মোটা টাকা দিয়ে আয়া রাখার পর তবেই সেই স্যালাইন চালু করেছে নার্সরা। অনেক টাকা দিয়ে আয়া রাখার পরও আয়া এবং নার্স উভয়ের গালাগালি শুনতে হয়। প্রচন্ড দুর্ব্যবহার করেন তারা। তাঁর আরও অভিযোগ, হাসপাতাল থেকে রোগীর ছুটি হলেও দাবি মতো টাকা দিতে হয় আয়াদের। সেই টাকা দেওয়ার পরেও আরও এক হাজার টাকা বকশিশ দাবি করে বসেন আয়ারা। সেই টাকা দিতে অস্বীকার করলেই সবকিছু আটকে রাখছেন আয়ারা।
শেখ জাফর আলী নামে ওই ব্যক্তির অভিযোগ, “দাবিমতো আয়াকে টাকা না দেওয়ায় ছুটির সময় সদ্যজাতকে আটকে রেখেছিল তারা। রোগীকে ভর্তি করার সময় থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক টাকা দাবি করছে আয়ারা। আর আয়াদের সেই কাজে সুযোগ করে দিচ্ছেন হাসপাতালের নার্সরা।“
এদিন এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মাতৃমা ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তারা। তাদের সঙ্গ দেয় ভুক্তভোগী অন্যান্য রোগী পরিবারগুলিও পাশে এসে দাঁড়ায়। পরে মেদিনীপুরের কোতোয়ালী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। যদিও এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। উল্লেখ্য, এক বছর আগে থেকেই হাসপাতালের ভেতরে আয়া রাখা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু একশ্রেণীর নার্সদের যোগসাজশে এভাবেই রমরমিয়ে আজও চলছে আয়াদের সিন্ডিকেট।