ভ্যাকসিন না নিয়েও হাতে এল ভ্যাকসিন নেওয়ার সার্টিফিকেট। শুধু তাই নয় যিনি ভ্যাকসিন দিলেন তাঁর নামও উল্লেখ করা সার্টিফিকেটে। দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীতে এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনার ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তড়িঘড়ি ভ্যাকসিন দেওয়া হয় ওই ব্যক্তিকে।
আরও পড়ুন
দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর বাসিন্দা শান্তনু মন্ডল জানিয়েছেন, ১০০ দিন আগে তিনি প্রথম ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতাল থেকে। এর পর দ্বিতীয় ডোজ নিতেই খোঁজ চালান দুর্গাপুরের লাউদোহা ফরিদপুর ব্লকে। খোঁজ পেয়ে ২ আগস্ট ভ্যাকসিনের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেন। সেইমতো ভ্যাকসিন নিতে গেলে গতকাল লাইনে দাড়িয়ে অসুস্থ বোধ করেন তিনি। ফলে ভ্যাকসিন কর্মীদের কথা মতো পুনরায় ৩ আগস্ট ভ্যাকসিনের জন্য নাম নথিভুক্ত করেন। কিন্তু অদ্ভুত ভাবেই বাড়ি ফেরার পর হঠাৎই করে ফোনে ভ্যাকসিন নেওয়ার মেসেজ ঢোকে। এমনকি যিনি ভ্যাকসিন দিয়েছেন তাঁর নামও সার্টিফিকেটে দেখা যায়।
ঘটনায় সন্দেহ হলে মঙ্গলবার সকালে ফের নাচন লাকায় ভ্যাকসিন নিতে যান শান্তুনু বাবু। ঘটনাটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভ্যাকসিন কর্মীদের জানানো হলে তাঁরা ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এমনকি তাঁকে বলা হয় সংবাদ মাধ্যম কিংবা কাউকে যেন বিষয়টি জানানো না হয়। এর পরেই তড়িঘড়ি করে তাঁকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন
তবে এই নিয়ে তিনি যথেষ্ট চিন্তিত রয়েছেন। আজ তিনি ভ্যাকসিন পেলেও গতকাল তাঁর বদলে কাকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন। ঘটনাটি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে এলাকায়।এদিন কলকাতা টিভির সাংবাদিককে ঘটনাটি সম্পূর্ণ জানান শান্তনুবাবু। স্বাস্থ্য কর্মীদের এহেন গাফিলতি নিয়ে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করবেন বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন