মালবাজার: মেটেলি ব্লকের উত্তর ধূপঝোড়ার অজগরপাড়ার বাসিন্দা রেজ্জাক ইসলামের রান্নাঘরে খাবারের খোঁজে হামলা চালালো হাতি। রান্নাঘর লাগোয়া পাশের ঘরেই ঘুমোচ্ছিল রেজ্জাকের তিন সন্তান। হাতি পড়েছে বুঝতে পেরে ভয়ে গুটিসুঁটি মেরে বসে থাকে তারা। হাতির হামলা থেকে বাঁচাতে শেষে জানালা দিয়ে তিন শিশুকে উদ্ধার করেন বাবা।
রেজ্জাক ইসলামের তিন সন্তানের উপস্থিতবুদ্ধির জেরেই এ যাত্রায় প্রাণরক্ষা পেল ওই তিন শিশুর। শনিবার আনুমানিক রাত ১২টা নাগাদ পার্শ্ববর্তী পানঝোরা জঙ্গল থেকে একটি দাঁতাল হাতি খাবারের খোঁজে বেরিয়ে আসে ওই এলাকায়। তারপরই এলাকার বাসিন্দা রেজ্জাক ইসলামের বাড়ির ভিতরে ঢুকে যায় হাতিটি। এরপর তাঁদের রান্নাঘর তচনচ করে দিয়ে সাবাড় করে ঘরে রাখা মজুত খাদ্যদ্রব্য। ওই সময় তাঁরা বাড়ি থেকে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন। এরপর হাতিটি আরও কয়েকটি বাড়ির বেড়া ভেঙে দেয়। জংলি দাঁতালের দামালপনা ঠেকাতে স্থানীয় বাসিন্দারা হাতি তাড়াতে বোমপটকা ফাটাতে শুরু করেন। তখন ভয় পেয়ে হাতিটি জঙ্গলে ফিরে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান, এই হাতিটিই বৃহস্পতিবার মঙ্গলবাড়ি এলাকায় দুই ব্যক্তিকে পিষে মেরে ফেলেছিল। এই ঘটনায় আতঙ্কিত ওই এলাকার বাসিন্দারা। নিয়মিত হাতিটি রাত্রে বের হচ্ছে বলে বাসিন্দারা জানান। শুক্রবার রাত্রেও উত্তর ধূপঝোরা এলাকায় তাণ্ডব চালায় হাতিটি। খুনিয়া স্কোয়াড সূত্রে জানা যায়, নিদিষ্ট ফর্মে আবেদন করলে সরকারি নিয়মে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। হাতির আতঙ্কে রাতে দু’চোখের পাতা এক করতে পারছেন না ওই এলাকার বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: Kolkata Metro: মেট্রো চলাচল বিঘ্নিত, পরে স্বাভাবিক
শীতের গোড়া থেকেই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় হাতির উপদ্রব শুরু হয়েছে, বনকর্মীরা সজাগ থাকলেও লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে গজরাজ। এ নিয়ে বাসিন্দারা বেশ ক্ষুব্ধ। হাতির হামলা এড়াতে বিভিন্ন জায়গায় রাতপাহারার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা।