বাঁকুড়া: বর্ষামঙ্গলের গানে দিন শুরু হয় এখানে, শেষ হয় জোৎস্না স্নাত রাতের অপার্থিব সৌন্দর্যে। মোহময়ী শুশুনিয়ার ধারায় কলস পূর্ণ করে প্রায় ৩০ কিমি পথ পায়ে হেঁটে চলেন পুণ্যার্থীরা। বাঁকে লাগানো ঘুঙুরের ঝম্ ঝম্ শব্দ, ছোট ছোট ঘণ্টার ধ্বনি ঘন সবুজের নিস্তব্ধতা ভেদ করে জানান দেয়, এখন ভরা শ্রাবণ, ভোলানাথের নামে দ্বারকেশ্বর নদের পাশে বাঁকুড়ার এক্তেশ্বর মন্দিরের পথে ছুটে চলেছেন অগনিত ভক্ত। মহামারি কোপে বন্ধ রয়েছে সেই এক্তেশ্বর শিব মন্দির। আনাগোনা নেই পুণ্যার্থীদের। শ্রাবণে আর জল ঢালা হয় না ভোলানাথের বিগ্রহে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে শ্রাবণী মেলায় জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। প্রতিবছর এই সময় এক্তেশ্বর মন্দিরে অগণিত ভক্ত সমাগম হয়। ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশ প্রশাসন ও মন্দির কর্তৃপক্ষকে।
আরও পড়ুন: বন্ধ থাকছে তারকেশ্বরের শ্রাবনী মেলা
সংক্রমণ ছড়ানোর ভয় গত বছরের মতো এ বছরেও ছেদ পড়েছে উত্সবে। মন্দিরের ব্রাহ্মণ সমিতি সম্প্রতি বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এবার বন্ধ থাকবে শ্রাবণের জল ঢালা ও বিশেষ পুজো। তবে মন্দিরের নিত্যপুজো চলবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালন করা হবে অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠান। যাঁরা নিত্যপুজোর কাজে মন্দিরে আসবেন তাঁদের মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক। আষাঢ়ের সংক্রান্তি থেকে ভাদ্রের প্রথম দিন পর্যন্ত ভক্তদের জন্য ভোলানাথের দ্বার অবারিত থাকে। ভোর ৪ টে থেকে খুলে যায় মন্দিরের দরজা। করোনার কারণে গত বছর থেকে বন্ধ রয়েছে মন্দির। মাঝে কিছুদিনের জন্য খোলা হলেও চৈত্রের গাজনের উত্সব হয়নি। এবার শ্রাবণের বিশেষ তিথিতেও রাশ টানতে হল মন্দির কর্তৃপক্ষকে। শ্রাবণী মেলা বন্ধ হওয়ায় মন ভাল নেই ভক্তদের।