মালদহ : পুত্রবধূর ওপর অমানবিক অত্যাচার। দড়ি দিয়ে হাত-পা এবং গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে বধূকে মারধরের অভিযোগ উঠল শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গাজোল থানার রাঙাভিটা এলাকায়। মঙ্গলবার সারারাত ধরে ওই বধূকে মারধর করা হয় বলে জানা গিয়েছে। বুধবার সকালে সুযোগ বুঝে বাড়ি থেকে পালিয়ে আসেন তিনি। অভিযুক্ত শ্বশুর-শাশুড়িকে আটক করা হয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয়রা অভিযুক্ত শ্বশুরকে গণধোলাই দেয়। খবর দেওয়া হয় বধূর পরিবারকে। পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ওই বধূকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন : Omicron in West Bengal: মালদহের ওমিক্রন আক্রান্ত শিশুর কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭ বছর আগে গাজোল থানার অন্তর্গত রাঙাভিটা এলাকার বাসিন্দা সুশান্ত ভৌমিকের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। তাঁদের দেড় বছরের একটি কন্যা এবং চার বছরের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। ওই বধূর স্বামী সুশান্ত ভৌমিক ভিন রাজ্যের একটি কোম্পানিতে কর্মরত। তিনি কর্মস্থলেই থাকেন। অভিযোগ উঠেছে, বধূকে একা পেয়ে তাঁর উপর অত্যাচার চালাত শ্বশুর ও শাশুড়ি। মঙ্গলবার প্রায় সারারাত ধরেই মারধর করা হলে বুধবার সকালে সুযোগ বুঝে গ্রামে পালিয়ে যায় বধূ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন মহিলা সমিতির সদস্যরা।
আরও পড়ুন : মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে জমি নিয়ে তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ২
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত শ্বশুরের নাম কানাই ভৌমিক এবং শাশুড়ির নাম আভা ভৌমিক। নির্যাতিতা জানান, তাঁর স্বামী বাইরে থাকেন। স্বামীর সঙ্গে তাঁকে কোনও কথা বলতে দিতেন না তাঁর শ্বশুর ও শাশুড়ি। বাড়িতেও ঠিকমতো খেতে দেওয়া হত না। হাত-মুখ বেঁধে মারধর করত। বাইরে বেরতে দেওয়া হত না। ছেলেমেয়েকে নিয়ে ঘরেই থাকতেন তিনি। বুধবার সুযোগ বুঝে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে প্রথমে স্থানীয়দের বিষয়টি জানান। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গাজোল থানার পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।