দার্জিলিং: কাজ সেরে ফিরছিলেন আশাকর্মী। গাড়িতেই তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা। প্রাণে বাঁচতে চলন্ত গাড়ি থেকে লাফ দিলেন মহিলা। অচৈতন্য অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় দার্জিলিং সদর থানায়। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি দার্জিলিংয়ের মকাইবাড়ি এলাকার। নির্যাতিতা ওই মহিলা শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনায় অভিযুক্ত নির্যাতিতার ভাইপো আয়ুষ থাপাকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, আশাকর্মী ওই মহিলা দার্জিলিং জেলার কার্শিয়াং ব্লকের বাগোরা সাব সেন্টারের কর্মী। শুক্রবার রাতে কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথেই ঘটে ওই দুর্ঘটনা। অভিযোগ, কাজ সেরে বাড়ি ফেরার সময় কার্শিয়াং রেল স্টেশনের কাছে আয়ুষ থাপা মহিলাকে নিজের গাড়িতে তোলে। এরপর মহিলাকে নিয়ে পাঙখাবাড়ি রাস্তা দিয়ে মকাইবাড়ি চা বাগানের শুনশান রাস্তায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। বাধা দিলে ওই মহিলাকে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর নিজের প্রাণ বাঁচাতে ওই মহিলা গাড়ি থেকে ঝাপ দেন।
এরপর রাস্তাতেই অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকেন ওই মহিলা। স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ তাঁকে প্রথমে কার্শিয়াং প্রাথমিক হাসপাতাল ভর্তি করে। এরপর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে ওই মহিলা আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। খবর দেওয়া হয় তাঁর পরিবারকে। নির্যাতিতার স্বামী বলেন ,বাড়ি ফেরার জন্য রাস্তায় অপেক্ষা করছিল স্ত্রী। একটি গাড়িতে উঠেও পড়ে৷ এরপর কী হয়েছে তা জানা যায়নি। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় রাস্তায় পড়ে ছিল৷
আরও পড়ুন- Alipurduar: বাড়ি বয়ে এসে মহিলাকে কু-ইঙ্গিত, ওসিকে বেঁধে হেনস্তা আলিপুরদুয়ারে
পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের নাম আয়ুষ থাপা। তার বাড়ি দার্জিলিং সদর এলাকাতেই। প্রতিবাদে কার্শিয়াং থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় পশ্চিমবঙ্গ আশা কর্মী সংগঠন। ধৃতের কড়া শাস্তির দাবি করে। যদিও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার সঙ্গে অভিযুক্তের দীর্ঘদিনের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। কার্শিয়াংয়ের অতিরিক্ত পুলিস সুপার মনোরঞ্জন ঘোষ বলেন, অভিযোগ পাওয়া মাত্রই শনিবার সকালে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই ব্যক্তি সম্পর্কে নির্যাতিতার ভাইপো। তাকে আদালতে তোলা হবে।