ক্যানিং: আম্ফান, যশের রেশ কাটতে না কাটতেই আর এক বিপত্তি। ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ। আর এই জাওয়াদ আতঙ্কে দিন কাটছে উত্তর ২৪ পরগনা বসিরহাট মহকুমার সুন্দরবনের সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, হাড়োয়া, মিনাখাঁ, হাসনাবাদ সহ দশটি ব্লকের বাসিন্দাদের।
আন্দামানে তৈরি হাওয়া জাওয়াদের কারণে বাংলার বিভিন্ন উপকূলবর্তী এলাকা গুলোতে ভারী অতি ভারী বৃষ্টি সেইসঙ্গে প্রবল ঝড়ের পূর্বাভাস জারি করেছে হাওয়া অফিস। অন্যদিকে, রাজ্যে নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় উপকূলের এলাকাগুলি। সেই তালিকার শীর্ষে রয়েছে সুন্দরবন। সেই কারণে আগে ভাগেই বিশেষ প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন।
বসিরহাট মহকুমা শাসকের দফতরে মূল পয়েন্ট করা হয়েছে। সেখানে ভিডিও কনফারেন্সে থাকবেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বসিরহাট মহকুমা শাসক মৌসম মুখার্জি। প্রতিটি ব্লকের বিডিও ও স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রশাসনের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তারা যোগাযোগ রাখবেন। ইতিমধ্যেই সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে মাইকিং প্রচার শুরু করে দেওয়া হয়েছে। একদিকে নদীর পাড়ে মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে। অন্যদিকে উঁচু জায়গা ত্রাণশিবির স্কুল বাড়িতে যাওয়ার জন্য নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবেলা দলকে। তবে, প্রস্তুতি থাকলেও আম্ফান, যশের বিপুল ক্ষতির কারণে জাওয়াদের পূর্বাভাসে নতুন করে আতঙ্কের সিঁদুরে মেঘ দেখছে সুন্দরবনের মানুষরা ।
আরও পড়ুন – ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’-এর নামকরণ করেছে কোন দেশ? এর অর্থই বা কী?
যদিও বসিরহাট মহকুমা শাসক মৌসম মুখার্জি আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে এনডিআরএফ দলকে সন্দেশখালিতে পাঠানো হয়েছে । উপকূলবর্তী এলাকার মানুষদের ত্রাণশিবির ও স্কুল বাড়িতে রাখা হচ্ছে করোনা বিধি মেনে। মাইকিংয়ে প্রচার চলছে। পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জাওয়াদের কারণে মৎস্যজীবীদের আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বর্তমানে যেসব দুর্বল নদীবাঁধ রয়েছে সেগুলো সেচ দফতর পরিদর্শন করছে। আগাম দুর্বল বাঁধের মেরামত কাজ চলছে। এছাড়াও দিনরাত প্রশাসন নজর রেখেছে।