কাঁথি: শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নিরাপত্তারক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর রহস্যজনক মৃত্যুর তদন্তে নামল সিআইডি (CID)৷ সোমবার দুপুর ১টা বেজে ৪০ মিনিট নাগাদ চার সদস্যের দল নিহত রক্ষীর মহিষাদলের বাড়িতে যান৷ আধঘণ্টারও বেশি সময় তাঁরা কথা বলেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে৷ সেখান থেকে তদন্তকারী দল চলে যায় কাঁথি থানায়৷ তবে তদন্তের স্বার্থে সিআইডির আধিকারিকরা সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও মন্তব্য করেননি৷
আরও পড়ুন: শুভেন্দুর প্রাক্তন দেহরক্ষীর মৃত্যুর ঘটনার তদন্তভার নিল সিআইডি
২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে মারা যান শুভব্রত চক্রবর্তী৷ সেই সময় রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী৷ তাঁরই নিরাপত্তারক্ষীর দায়িত্বে ছিলেন শুভব্রত৷ মৃতের স্ত্রী সুপর্ণা জানান, ১৪ অক্টোবর কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর স্বামীর৷ শুভব্রতর শরীরে গুলি লেগেছিল৷ কিন্তু কী করে তিনি গুলিবিদ্ধ হন সেটা সুপর্ণা বা পরিবারের কারও কাছে আজও স্পষ্ট নয়৷ সেই ঘটনার আড়াই বছর পর ৭ জুলাই কাঁথি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সুপর্ণা৷ নিহতের স্ত্রীর দাবি, শুভেন্দু অধিকারী তখন রাজ্যের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন৷ তাই তখন তিনি ভয়ে মুখ খোলেননি৷ এখন পরিস্থিতি আলাদা৷ শুভেন্দু অধিকারীর দাপট অনেকটাই কমেছে৷ তাই এখন তিনি তাঁর স্বামীর মৃত্যুর বিচার চান৷
আরও পড়ুন: পদ থেকে অপসারিত শুভেন্দু, দায়িত্ব পেলেন সৌমেন
তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী ৬-৭ বছর শুভেন্দুর নিরাপত্তারক্ষী হিসাবে কাজ করেছেন৷ তখন স্বামীর সঙ্গে কাঁথিতেই থাকতাম৷ আমাদের দুই সন্তান আছে৷ ঘটনার দিন প্রতিদিনের মতো সকালে কাজে বেরিয়ে যান শুভব্রত৷ পরে জানতে পারি, আমার স্বামী হাসপাতালে ভর্তি৷ খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছয়ই৷ সেখানে গিয়ে জানতে পারি শুভব্রত-র গুলি লেগেছে৷ শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়৷’ অভিযোগ, অ্যাম্বুল্যান্স আসতে অনেক দেরি করে৷ এমনকী কলকাতায় নিয়ে আসার পরেও হাসপাতালে কোনও চিকিৎসায় হয়নি শুভব্রতর৷ সুপর্ণার প্রশ্ন, রাজ্যের মন্ত্রীর নির্দেশ সত্ত্বেও কেন অ্যাম্বুল্যান্স দেরিতে এল? কেন হাসপাতালে ফেলে রাখা হয়েছিল শুভব্রতকে?