বাঁকুড়া : উত্তরাখণ্ডে ট্রেকিং করতে যাওয়া বাঁকুড়ার ৭ পর্বতারোহীর খোঁজ মিলল। ফোনে পরিবারকে জানাল ‘ভালো আছি’।
একদিন নয় টানা পাঁচ দিন। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল উত্তরাখণ্ডে ট্রেকিং করতে যাওয়া বাঁকুড়ার ৭ পর্বতারোহীর। উত্তরাখন্ডের প্রাকৃতিক দুর্যোগের খবর দেখার পর থেকেই উদ্বেগ বাড়ে পরিবারগুলির। একদিকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অন্যদিকে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের খবর, সবমিলিয়ে প্রবল দুশ্চিন্তা। অবশেষে টানা পাঁচ দিন পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় টেলিফোনে খবর আসে তারা সুস্থ ও ভালো আছেন। চরম উৎকণ্ঠা ও উদ্বেগের পর টেলিফোনের খবরে স্বস্তিতে বাঁকুড়ার ৭ পর্বতারোহীর পরিবার।
আরও পড়ুন : বৃষ্টি থামতেই সিকিমে তুষারপাত, আনন্দে মাতোয়ারা পর্যটকরা
পাহাড়ের নেশায় তাঁরা ছুটে যান। বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকেই একাধিক বার বিভিন্ন পাহাড়ের ট্রেকিং অংশ নিয়েছেন। এবার তাঁদের ট্রেকিং ছিল উত্তরাখন্ডের হর-কি-দুন ও রুইনসারা তালে। সেই লক্ষ্য নিয়ে ১৪ নভেম্বর নবমীর দিন বাঁকুড়ার ওন্দা থানার আগড়দা ও পুরুষোত্তমপুর গ্রাম থেকে ৭ পর্বতারোহী রওনা দেন উত্তরাখণ্ডে। ১৭ অক্টোবর রবিবার সকালে পরিবার কে জানান তাঁরা দেরাদুন থেকে সাঁকরির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েছেন। ব্যাস তারপর থেকে পরিবারের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন হয়ে পড়ে বাঁকুড়ার ৭ পর্বতারোহীর। এদিকে উত্তরখন্ডের প্রাকৃতিক দুর্যোগের খবর টিভিতে দেখার পর থেকে উদ্বেগ বাড়তে থাকে পরিবারগুলির। বার বার ফোন করেও সম্ভব হয়নি তাঁদের সাথে যোগাযোগ করা।
বাঁকুড়া জেলা পুলিশের তরফে বিভিন্ন ভাবে ট্রেকিং টিমের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টাও করা হয়। অবশেষে টানা ৫ দিন পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়িতে ফোন করে জানায় তারা সুস্থ ও ভালো আছেন। সাঁকরিতে পৌছেছেন। এই খবরে উদ্বেগ কাটে বাঁকুড়ার ৭ পর্বতারোহীর পরিবার। শনিবার সকালে সাঁকরি থেকে বাঁকুড়ার ৭ পর্বতারোহী রওনা দেন দেরাদুনের উদ্দেশ্যে। সেখান থেকেই শনিবার রাত ১০ টার ট্রেনে তারা রওনা দিচ্ছেন বাড়ির পথে।