পূর্ব বর্ধমান: গাছের মগডালে একঝাঁক শামুকখোল বসে আছে। ঠিক যেন অভয়ারণ্য। তাদের পাখার ঝাপটা আর কোলাহলে দুলছে গাছের ডালপালা। সোনালী রোদ আর গোধূলির মৃদু আলোয় তাদের অপূর্ব সৌন্দর্য ফুটে ওঠে প্রকৃতির কাছে।
পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের এরুয়ার গ্রামে পীরতলায় বিলুপ্তপ্রায় শামুকখোল পাখির অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র। গ্রামবাসীরাই এগিয়ে এসেছেন তাদের নিরাপত্তায়। জুলাই, অগস্ট, সেপ্টেম্বর -এই তিন মাস বিশালাকার শত শত শামুকখোল এসে জড়ো হয় গ্রামে। এই অন্যতম আকর্ষণ দেখতে ভিড় জমায় বহু মানুষ।
আরও পড়ুন- গণতন্ত্র রক্ষায় সংবাদের মান ও সত্যতায় গুরুত্ব বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের
শামুকখোল (বৈজ্ঞানিক নাম Anastomus oscitans)। শামুক ভেঙে খেতে ওস্তাদ৷ তাই এই পাখির নাম। এরা শামুক খেতে খুব ভালোবাসে। শামুক পেলে ঠোঁট দিয়ে শামুকের খোল ভাঙে, তারপর সেটা ওপরে তুলে আকাশের দিকে মুখ করে গিলে ফেলে। এ জন্য এর নাম শামুক খোল। তবে এরা শুধু শামুকই খায় না খাল-বিলের ছোট ছোট শামুক-ঝিনুক, ছোট মাছ, আর ফসলের মাঠের পোকা-মাকড় খেয়ে জীবন বাঁচায় এই পাখি। নিরাপদ আশ্রয়ে প্রজননও করছে পাখিগুলো। ফলে, দিন দিন বাড়ছে পাখির সংখ্যাও।
আরও পড়ুন-টেন্ডার দুর্নীতি কাণ্ডে হদিশ গোল্ড সম্পত্তির, তৃতীয়বার জেল হেফাজত শ্যামাপ্রসাদের
শামুকখোল সারস জাতীয় পাখি। পৃথিবীতে দুটি প্রজাতি আছে এদের। একটি হচ্ছে এশীয়, আরেকটি আফ্রিকান। গ্রাম বাংলায় দেখা মেলা প্রজাতির শামুখখোল এশীয় প্রজাতির। আফ্রিকান শামুকখোল দেখতে পুরোটাই কালো। এশীয় শামুকখোলের পালকের সামনের দিকটা কালচে।