শিলিগুড়ি: করোনা মিটলেই বাংলায় সিএএ করব। দিদি আপনি কিছু করতে পারবেন না। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি স্টেডিয়ামের জনসভায় জোর গলায় এই ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যদিও এদিনই তৃণমূল ভবনে দলীয় বৈঠকের শেষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও শাহকে চ্যালেঞ্জের সুরে জানিয়ে দেন, কোনও অবস্থাতেই এরাজ্যে সিএএ বা এনআরসি হতে দেব না। এদিন প্রথমে উত্তর ২৪ পরগনায় বিএসএফের সঙ্গে বৈঠকের পর মতুয়া নেতা শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে কথা হলেও সেখানে সিএএ প্রসঙ্গ ওঠেনি। কিন্তু উত্তরবঙ্গের মতো উদ্বাস্তু-অধ্যুষিত এলাকায় গিয়ে অমিত শাহ ফের নাগরিকত্বের রাজনীতিকে উসকে দিলেন বলে মনে করছে পর্যবেক্ষক মহল।
একবছরও হয়নি বিধানসভা ভোটে গোহারা হয়েছে বিজেপি। ভোটে পরাজয়ের এক বছর পর রাজ্যে পা রেখেই বিজেপির ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে এক জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন শাহ।
বিধানসভা ভোটের আগেও তিনি তৃণমূল নেতাদের কাটমানি, দুর্নীতি, সিন্ডিকেট রাজ নিয়ে আক্রমণ শানিয়েছিলেন। এদিন একই ভাষায় তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন শাহ। শিলিগুড়ির মঞ্চ থেকে ভারতমাতা কি জয় ধ্বনি তুলে অনিত শাহ বলেন, ভোটের রায় আমরা মাথা পেতে নিয়েছি। কিন্তু তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হয়েও নিজেকে শোধরাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- Amit Shah in Bengal: বিএসএফের সঙ্গে শাহের বৈঠকে বিজেপি নেতারা, উঠল প্রশ্ন
ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে আমাদের কর্মী ও সমর্থকদের উপর আক্রমণ করা হয়েছে। বাংলায় আইনের শাসন নেই। শাসকের আইন চলছে। এই প্রসঙ্গে তিনি বগটুইয়ে পুড়িয়ে মারার ঘটনার উল্লেখ করেন। হাঁসখালির ঘটনা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দেন শাহ। তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গেও একদিন এই অত্যাচারী শাসনকে উপড়ে ফেলে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। আমরা এ রাজ্যে ৩ থেকে ৭২-এ পৌঁছেছি। লড়াইয়ের মাধ্যমে একদিন জনমত নিয়ে সরকারে আসব।