তমলুক : অপেক্ষা শেষ পড়ুয়াদের। আজ থেকে আবার সেই চেনা বেঞ্চ, চেনা ক্লাসরুমে প্রবেশ। অবশেষে খুলল রাজ্যের সমস্ত স্কুল। আবার শোনা যাবে টিচারের চিৎকার। চক, ডাস্টারের শব্দ।
প্রায় দু’বছর ধরে বন্ধ স্কুল। এতদিন অনলাইনেই চলছিল পড়াশোনা। এবার সশরীরে ক্লাস করতে পারবে পড়ুয়ারা। কিন্তু স্কুল খোলার জন্য যে ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, সেগুলি কতটা কার্যকর তা আজ স্কুল চলার পরই বোঝা যাবে।
ঘরবন্দি পড়ুয়ারা দু’বছর পর তালামুক্ত হল। দীর্ঘ ১৮ মাস বন্ধ পড়েছিল স্কুলের ক্লাসরুমগুলো। করোনা যখন গোটা বিশ্বকে গ্রাস করেছিল তখন থেকেই স্কুলের চার দেওয়াল ছিল শুনসান। ছিল না ছাত্রছাত্রীদের কিচিরকিচির। ছিল না শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপস্থিতি। বকাবকিও শুনতে হত না। এত দিন পর করোনা বিধি মেনে স্কুল খোলায় খুশি পড়ুয়ারা। দীর্ঘদিন ঘর থেকে না বেরনোয় কিছুটা ভয় পেলেও, পুরনো বন্ধুদের সামনে থেকে দেখতে পেয়ে আলাদাই উচ্ছ্বাস দেখা যায় তাদের মধ্যে।
মঙ্গলবার তমলুক হ্যমিল্টন হাইস্কুল, রাজকুমারী সান্তনাময়ী বালিকা বিদ্যালয়, তমলুক হাইস্কুল সহ সমস্ত স্কুলে ছাত্রছাত্রীরা ইতিমধ্যেই প্রবেশ করেছে। সকলের মুখেই মাস্ক, হাতে স্যানিটাইজার। গাইডলাইনে বলাই ছিল প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে মাস্ক পরে স্কুলে ঢুকতে হবে। স্কুলে আইসোলেশন রুম রাখতে হবে। কেউ অসুস্থ হলেই তাকে সেখানে পাঠিয়ে দিতে হবে। জ্বর নিয়ে কোনও অভিভাবক যেন পড়ুয়াকে স্কুলে না পাঠান, সেদিকে দেখতে হবে। সমস্ত স্কুল খোলার আগেই ভালোভাবে স্যানিটাইজেশনের কাজ হয়েছে। তবুও জেলায় জেলায় এখনও দুশ্চিন্তা রয়েছে।