আলিপুরদুয়ার: বেশ কয়েকদিন ধরে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে চলছে লাগাতার বৃষ্টি। এর জেরে জলমগ্ন উত্তরবঙ্গের বহু এলাকা। একটানা বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বিভিন্ন নদীতে জলস্তর ক্রমশই বাড়ছে। বর্ষার আগেই বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে আলিপুরদুয়ারে। ভুটান থেকে আসা খরস্রোতা নদীগুলির জল ঢুকে যাওয়ায় আলিপুরদুয়ারের বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। তিস্তাতেও হলুদ সতর্কতা জারি করেছে সেচ দফতর। বন্যার আতঙ্কে ভুগছেন আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দারা।
ভুটান সংলগ্ন এলাকায় অনবরত বৃষ্টির ফলে জয়গাঁও হাসিমারা ঝোরার ভাঙ্গনে বিলীন হয়েছে পাঁচটি বাড়ি। বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে আরও ছটি বাড়ি। তোর্সা নদীর স্রোতে তলিয়ে গিয়ে প্রাণও হারিয়েছেন একজন। সেইসঙ্গে আলিপুরদুয়ার ২ নম্বর ব্লকের বাকলা খালের জল বাড়ায় ওই এলাকায় কিছু কৃষিজমিতে জল ঢুকে পড়েছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, গত ২৪ ঘন্টায় আলিপুরদুয়ারে বৃষ্টি হয়েছে ২০৬.২০ মিলিমিটার, হাসিমারায় বৃষ্টি হয়েছে ২১৫.৪০ মিলিমিটার। সেচ দফতরের আলিপুরদুয়ার জেলার এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার জানান, জল বাড়লেও আলিপুরদুয়ার জেলার কোনও নদীতেই এখনও পর্যন্ত হলুদ এবং লাল সংকেত জারি করা হয়নি।
এদিন জল নিকাশি ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে এবং বাঁধ পরিদর্শনে যান আলিপুরদুয়ারের মহকুমার শাসক বিপ্লব সরকার। এলাকার বাসিন্দাদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্লুইসগেট সংলগ্ন এলাকায় শক্তিশালী পাম্প বসিয়ে জল নিকাশের কাজ চালু করেছে আলিপুরদুয়ার পুরসভা।
আরও পড়ুন: WBJEE Result: শুক্রবার রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ফল
অন্যদিকে, ১৪ জুন থেকে ডুয়ার্সে শুরু হয়েছে ব্যাপক বৃষ্টিপাত। এক নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে নাজেহাল ডুয়ার্সের মানুষ। বুধবারের পর বৃহস্পতিবার সকালের ছবিটাও ঠিক একই রকম। ডুয়ার্সের গয়েরকাটা হিন্দুপাড়া এলাকায় বৃষ্টির জমা জলে চরম দুর্দশায় সাধারণ মানুষের। এলাকার বিভিন্ন মানুষের বাড়িতে গভীর রাত থেকে ঘরে ঢুকতে শুরু করেছে বৃষ্টির জল। খাবার ঘর, রান্নাঘরে প্রায় একহাঁটু জল জমে গিয়েছে। জল ঢুকে যাওয়ায় রান্না বন্ধ। বাড়ির শিশুদের নিয়ে না খেয়ে রয়েছেন তাঁরা। ৫০ টিরও বেশি পরিবার এই জল যন্ত্রণার শিকার।