ঝাড়গ্রাম: কলকাতা টিভি খবরের জের, পাথর শিল্পীদের সমস্যার কথা শুনে তাঁদের পাশে থাকতে শনিবার পাথর শিল্পের কার্যালয়ে গেলেন মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো। ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ির প্রত্যন্ত গ্রাম শিমুলপাল, ডাঙ্গিকুসুম সহ বীরমাদল। এই সব গ্রামের বাসিন্দাদের পেশা পাথরের জিনিসপত্র বানানো। একটা সময় ছিল এই সব এলাকায় কান পাতলেই শোনা যেত পাথরের গায়ে শিল্পীদের ছেনি, হাতুড়ি আর হাতকুঠারের ঠক ঠক শব্দ। কিন্তু আজ আর তা শোনা যায় না।
আরও পড়ুন: হাতি খেল রেশনের চাল
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে যন্ত্রপাতি ও বাজারহাট না থাকায় সমস্যায় আছেন পাথর শিল্পীরা। বিক্রি বাট্টা নেই বললেই চলে। এতে পেটে টান পড়েছে তাঁদের। সেই সমস্যার কথা শুনেই শনিবার ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো আসেন তাঁদের গ্রামে। পাথর শিল্পীদের সাথে কথা বলে জানতে চান অভাব-অভিযোগের কথা।
আরও পড়ুন:বিষাক্ত গ্যাস লিক করে অসুস্থ শ্রমিক
শিল্পীদের কথা শুনে তিনি তাঁদের একটি কো-অপারেটিভ গ্রুপ তৈরি করার কথা বলেন এবং গ্রামের শিল্পীদের সঙ্গে তাঁর প্রতিনিধিরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখবে বলেও আশ্বাস দেন। শিল্পীরা তাঁদের জিনিসপত্র বানানোর জন্য কিছু আনুষাঙ্গিক যন্ত্রপাতির আবেদন জানালে দ্রুত তা মেটানো হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শ্রীকান্ত মাহাতো। অন্যদিকে, পাথর শিল্পীদের সমস্যা মেটাতে মন্ত্রী নিজে গিয়েছেন এবং সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বলে খুশি শিল্পীরা।