সামসেরগঞ্জ: ধূলিয়ান পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর তথা তৃণমূলের কো অর্ডিনেটের হাবিবুর রহমান ওরফে জোহরকে লাথি মারার অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় ওই এলাকায়।
ওই বিদায়ী কাউন্সিলর দক্ষিণ গাজীনগর প্রাইমারি স্কুলের ৩০ এবং ৩৩ নম্বর বুথে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই সময়ে তাঁকে পিছন থেকে এসে লাথি মারেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তাঁর সাদা পাঞ্জাবীতে জুতোর দাগ ধরা পড়ে ক্যামেরায়।
বৃহস্পতিবার রাজ্যের তিনটি কেন্দ্রে চলছে নির্বাচন। দুপুর ১১ টা পর্যন্ত ৪০.২৩ শতাংশ ভোট পড়েছে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে। যা বাকি দুই কেন্দ্রের থেকে বেশ খানিকটা বেশি। তবে, এখানে ভোট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা নজরে এসেছে।
আরও পড়ুন – ভোটের দিন আচমকা রাস্তায় দেখা, সৌজন্য বিনিময় জঙ্গিপুরের তৃণমূল-বিজেপি প্রার্থীদের
তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, নির্বাচনের ঠিক আগের দিন অর্থাৎ বুধবার রাত দুটো নাগাদ সমসেরগঞ্জের তৃণমূল পঞ্চায়েত কর্মী জিয়াউর রহমানের বাড়িতে হামলা হয়। তৃণমূলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কংগ্রেস প্রার্থী জয়দুর রহমান এবং অনরুল হক একদল দুষ্কৃতী নিয়ে এসে হামলা করে ওই তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে।
আরও পড়ুন – ভবানীপুরের ভোটে মমতার সেনাপতিরা কে কোথায়
ভাঙচুর করা হয় ওই তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে। দুষ্কৃতীদের কাছে লাঠি, রড এবং আগ্নেয়াস্ত্র ছিল তা দিয়েই চালানো হয় হামলা। যদিও শান্তি বজায় রাখতে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে একজনকে। আর ঠিক তারপর দিনই বিদায়ী কাউন্সিলরকে লাথি মারার ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। তবে, এই ঘটনা ছাড়া আপাতপক্ষে শান্তিপূর্ণ ভাবেই হচ্ছে ভোট।