কলকাতা: সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে ভবানীপুরে। বিভিন্ন বুথে সকালের দিকে লাইন কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়তেই ধীরে ধীরে বুথমুখী হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তৃণমূলের তরফে একাধিক হেভিওয়েট নেতা ভোটের দায়িত্বে রয়েছেন। বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল বুথে বুথে ঘুরলেও তৃণমূল প্রার্থী মমতা ভরসা রেখেছেন তাঁর সৈনিকদের উপর।
বিজেপির গড় বলে পরিচিত ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটের দায়িত্বে রয়েছেন তৃণমূল নেতা বাবলু সিং। এই কেন্দ্রের একটা বড় অংশের ভোটার অবাঙালি। ফলে এই কেন্দ্রে লিড নেওয়া তৃণমূলের কাছে চ্যালঞ্জ। ২০১৬-র বিধানসভা ভোটেও এই ওয়ার্ডে লিড পেয়েছিল বিজেপি। ফলে এ বারের উপনির্বাচনে এই ওয়ার্ডে জয়লাভ তৃণমূলের কাছে কার্যত প্রেস্টিজ ফাইট।
আরও পড়ুন: প্রথম কয়েক ঘণ্টায় ফাঁকা বুথ; লাঞ্চের পর বাড়বে ভোটের হার?
৭১, ৭২ ও ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে রয়েছেন বাবলু সিং, তৃণমূল সুপ্রিমোর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বও সামলাচ্ছেন তিনি। ৭৭ এবং ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের দুর্গ সামলাচ্ছেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং শ্রীরামপুরের সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ৬২ নম্বর ওয়ার্ড দেখভাল করছেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
কোভিড বিধি মেনে ভোট দিচ্ছেন আমজনতা
ভবানীপুর কেন্দ্রের দায়িত্বে দলের শীর্ষনেতা সুব্রত বকসি ও শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও রয়েছেন। বিভিন্ন বুথে ঘুরছেন ভবানীপুরের প্রাক্তন বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিফ ইলেকশন এজেন্ট বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় সকাল থেকেই বিভিন্ন বুথের পরিদর্শন করছেন। কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র নিজের এলাকার দায়িত্বে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: সামসেরগঞ্জে তৃণমূল কর্মীর উপর হামলা, অভিযুক্ত কংগ্রেস প্রার্থী
শুধু নির্বাচনের দিন নয়, প্রচারের দায়িত্বও হেভিওয়েটদের দিয়েছিল তৃণমূল। ৭১ এবং ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে ছিলেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে৷ ৭৪, ৭৭ এবং ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে মমতার প্রচার নেতৃত্বের সামলেছেন পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম৷ ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে ছিলেন নেত্রীর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়। ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে ছিলেন রাসবিহারীর বিধায়ক দেবাশিস কুমার।
ভবানীপুর কেন্দ্রের নিরাপত্তায় বিশেষ নজর দিয়েছে কমিশন। ৩৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়াও প্রচুর সংখ্যক রাজ্য পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। নিরাপত্তায় রয়েছেন ৫ জন জয়েন্ট সিপি পদমর্যাদার আধিকারিক। ১৪ জন ডেপুটি কমিশনার ও ১৪ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার রয়েছেন।
বুথ পরিদর্শনে মমতার চিফ ইলেকশন এজেন্ট বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়
আরও পড়ুন: ভবানীপুর: বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ
৯টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে রয়েছে স্ট্রাইকিং ফোর্স। ১৩টি কিউআরটিভ্যান, ৯ ফ্লাইং স্কোয়াডও রয়েছে। এছাড়াও নিরাপত্তার জন্য প্রস্তুত রয়েছে র্যাফ। ভোর ৪ টে ৩০ থেকে পথে নেমেছেন ১০০ জন ট্রাফিক সার্জেন। গোটা ভবানীপুর কেন্দ্রে কড়া নিরাপত্তার জন্য রাখা হয়েছে ১০টা নাকা পয়েন্ট।