ভারত: ২০২/১০, ২৬৬/১০
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২২৯/১০
সকলের মনে বসে গেছে এই ধারণাটি-পন্থ দারুন ব্যাটসম্যান। কিপিং আগের চেয়ে ভালো করে নিয়েছেন।বিশেষ করে বিদেশের মাটিতে। অধিকাংশ ম্যাচে রান পেয়েছেন তিনি। তবে বেশ কয়েকটি ম্যাচে ব্যাটে সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারছেন না পন্থ। ওয়ান্ডার্সে, দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে শূন্য (০) রানে আউট হয়ে ফিরে যান।। কিন্তু যেভাবে পন্থ আউট হলেন,দলের তখনকার পরিস্থিতিতে মাথায় রেখে-বলাই যায়, উইকেটটা উপহার দিয়েছেন।এই কারণেই ক্ষুব্ধ কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকার। তিনি তো টিভি ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় সরাসরি পন্থের আউট হওয়ার ধরণ নিয়ে প্ৰশ্ন তুলে দিলেন।
আরও পড়ুন: Maradona: নিলামে বিক্রি হল না দামী বাড়ি আর গাড়ি !
দলের কঠিন সময়ে ব্যাট করতে নেমেছিলেন। তবে তিনি যে টেস্ট ম্যাচ খেলছেন, নেওয়া শট দেখে বোঝাই যায়নি। দলের খেলা দেখে সবসময় নিজেকে প্রয়োগ করা উচিত। মেরে ফাটিয়ে দেব-মানসিকতা সব সময় কাজে লাগে না। এদিন বড় শট হাঁকাতে গিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন পন্থ। অমন হিট করতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ তুলে ফিরলেন পন্থ।
এমনভাবে আউটের পরই সুনীল গাভাসকার কমেন্ট্রি বক্সে বসেই কড়া সমালোচনা করতে ছাড়েন। বলে দেন, ‘ক্রিজে নতুন দুজন ব্যাটসম্যান নেমেছে। আর পন্থের কাছে কী শট দেখলাম!অত্যন্ত লজ্জাজনক। এমন শটের জন্য কোনও অজুহাত দেওয়া যায়না। ওঁর স্বভাবিক খেলা বলে অজুহাত দেওয়ার প্রচেষ্টা করাতে গেলে মানা যায় না। মান উচিত নয়’।
https://publish.twitter.com/?url=https://twitter.com/Cricketracker/status/1478665441992056835
‘ক্রিকেটে ব্যাট করতে নেমে সামান্য দায়িত্বশীল তো হতে হবে! বাকি ব্যাটসম্যানরা শরীরে চোট আঘাত সয়ে ক্রিজে লড়ে যাচ্ছে। রাহানে-পূজারা উইকেটে ছিল। ওরাও তো বেশ কয়েকবার শরীরে বলের আঘাত সহ্য করল। তাই পন্থেরও দলের জন্য লড়াই চালানো উচিত ছিল। ড্রেসিংরুমে মোটেই ওকে খুব বেশি সহানুভূতি দেখানো হবে না, নিশ্চিত’। মনে রাখতে হবে, পন্থের ‘রবি-ভাই’ আর এই দলের কোচ নন। কোচের নাম-রাহুল দ্রাবিড়।যিনি কোনও ম্যাচে ক্রিজে গিয়ে কস্মিনকালে এমন শট নেওয়ার কথা ভাবেননি-খেলা তো দূরের কথা। আর কবে ঋদ্ধিমান সাহাকে সুযোগ দেওয়া হবে? জাতীয় দলের অধিনায়ক গাভাসকর থাকতে খারাপ শট খেলার জন্য ইডেন টেস্টে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল কপিলদেবকে। আজ এটা হবে না। কিন্তু পন্থকে সত্যি একটু ঝাকুনি দেওয়ার সময় হয়েছে।
বেশ কয়েকদিন ধরেই আলোচনা হচ্ছিল রাহানে-পূজারাকে নিয়ে। দু’জনের প্রথম একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়েই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। সুনীল গাভাসকার-ই বলে রেখেছিলেন, রাহানে-পূজারার কাছে শেষ সুযোগ হতে চলেছে ওয়ান্ডার্সের দ্বিতীয় ইনিংসটি। রাহানে (৫৮)-পূজারা (৫৩) দু’জনেই হাফসেঞ্চুরি করে লড়াইয়ে রাখে দিলেন ভারতকে। মঙ্গলবার ভারত ২৭ রানে পিছিয়ে গিয়ে ব্যাট করতে নামার পরে- ভারত দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল ২ উইকেটে ৮৫ রানে। এরপরে রাহানে-পূজারা দুজনেই ১১১ রানের দারুণ পার্টনারশিপ গড়ে দলকে এগিয়ে দেন। তা-ও আবার মাত্র ১৪৪ বলে! বলা যায় পাল্টা আঘাত করেছিলেন।
Tea on Day 3 of the 2nd Test.
South Africa get off to a steady start in the second innings with 34/0 on the board.
Scorecard – https://t.co/qcQcovZ41s #SAvIND pic.twitter.com/rreknnhtVr
— BCCI (@BCCI) January 5, 2022
দু’জনের ব্যাটে ভর করেই ভারত ১০০-র ওপর লিড নেওয়া নিশ্চিত করে ফেলে। সানি গাভাসকর বুধবারই উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার দু’জনকে। কথাগুলো ছিল: ‘দারুণ ব্যাটিং করল ওঁরা। পাল্টা আক্রমন চালিয়ে দলকে এগিয়ে দিল। যেটা দেখার ছিল, ওরা কিন্তু সব বল –চালিয়ে খেলতে যায়নি।সেটা মনে রাখতে হবে। বেশ কিছু কড়া বোলিংয়েরও মোকাবিলা করতে হয়েছে দুজনকে’।
Since Ashwin came into the attack, India have brought down the run-rate from 3.76 to 3.12 in 12 overs. The off-spinner has held one end up while also getting rid of Keegan Peteren, with pacers attacking from the other end.
SA – 103/2 in 33 overs (Need 137 runs to win)#SAvIND
— Sports Express (@Xpress_Sports) January 5, 2022
তবে রাহানে-পূজারা অল্প রানের ব্যবধানে আউট হতেই ভারতের ইনিংস হুড়মুড় করে গুটিয়া যায়। দক্ষিণ আফ্রিকা প্ৰথম ইনিংসে ২২৯ তোলার পরে ভারত থামল ২৬৬ রানে। রাহানে-পূজারা আউট হওয়ার পরে ভারতের ইনিংসে একমাত্র লড়লেন হনুমা বিহারী। থাকলেন অপরাজিত ৪০ রান করে।দলের লিড ২৩৯ রান হয়ে যায়। শার্দূল ঠাকুর (২৮) এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন (১৬) কিছুটা সাহায্য করেন।
ছবি-সৌ টুইটার।