এনআইয়ের নাম করে ঘুষ নিতে গিয়ে পুলিশের জালে এবার এক ফেক আইপিএস অফিসার রাজর্ষি ভট্টাচার্য। বুধবার তাঁকে তালতলা থেকে গ্রেফতার করে পার্ক স্ট্রিট থানার পুলিশ। একইসঙ্গে গ্রেফতার তাঁর দেহ রক্ষী এবং গাড়ির ড্রাইভার ।ঘটনার তদন্তে নামে লালাবাজার থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে।
আরও পড়ুন প্রতারণার জোরাল প্রমাণ দিল তৃণমূল, বেজায় বিপাকে মন্ত্রী জন বার্লা
পুলিশ সূত্রে খবর, ভুয়ো আইপিএস অফিসার কিছুদিন আগেই এক ব্যক্তিকে এনআইএর অফিসার বলে টোপ দিয়ে ২ লক্ষ টাকা হাতাতে যায়। সেখানেই সন্দেহ হয় ওই ব্যক্তির। অভিযোগ দায়ের করেন পার্ক স্ট্রিট থানায়। এরপরই পুলিশি তদন্ত শুরু হলে সামনে আসে পুরো ঘটনাটি। শুরু হয় তদন্ত। বুধবার পার্কস্ট্রিট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় ওই ভুয়ো অফিসারকে। তাকে জেরা করতেই উঠে আসে একের পর এক তথ্য। জানা যায় লকডাউনে ছবি কেনা বেচার কাজ করতেই রাজর্ষি। আই পি এসের ভাবমূর্তি বজায় রাখতেই গাড়িতে নীল বাতির ব্যবহার,দেহ রক্ষী,পুলিশি মহলে ওঠা বসা সব কিছুই করতেই তিনি। বেশ ভালো সম্পর্ক ছিল তাঁর প্রশাসনিক মহলের সঙ্গে। আর তাতেই উঠছে প্রশ্ন। এই ঘটনায় কারা কারা জড়িত তা নিয়েই শুরু হয়েছে পুলিশি জেরা। এই ভুয়ো আইপিএস চক্রের দ্বারা কোনও প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে কিনা তা জানতেও বিষয়টি খতিয়ে দেখছে লালবাজার থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, তাহলে কী তৃণমূলে আসছেন অভিনেতা ?
এই ঘটনার সাথে উঠে এসেছে আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেছে বেশিরভাগ সময়ই ভুয়ো আইপিএসকে বান্ধবীর অফিসেই দেখা যেত। সম্পর্কে ত্রিকোণ প্রেমের প্রভাব পড়ায় বান্ধবীকে খুন করারও ছক কষেছিলেন রাজর্ষি। ইতিমধ্যেই লালাবাজার গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে ভুয়ো আই পিএসের দেহ রক্ষীর মোবাইল ফোন। সেখানে স্পেশাল ব্রাঞ্চের একটি ভুয়ো আইডি কার্ডের ছবি মিলেছে। তাদের জেরা চালাচ্ছে পুলিশ।
আরও পড়ুন রাজ্যে বাড়ল করোনায় সুস্থতার হার, দৈনিক মৃত্যু কমে ৫