করোনার দাপটে বিপর্যস্ত গোটা অর্থনীতি। যার প্রভাব পড়েছে মালদহ জেলাতেও। কারণ রেকর্ড পরিমাণ আম উৎপাদন হলেও দেখা মিলছে না ক্রেতার৷ রফতানিও পুরোপুরি বন্ধ৷ এই অবস্থায় বড়সড় ক্ষতির মুখে মালদহর আম চাষিরা৷ কীভাবে চলবে জীবন ও জীবিকা? তা নিয়ে চিন্তায় মাথায় হাত আম ব্যবসায়ীদের।
আরও পড়ুন ডেল্টা প্রতিরোধে ব্যর্থ কোভিশিল্ড :আইসিএমআর
করোনার বিধিনিষেধ এবং পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে বাগানের আম গাছেই রয়ে গিয়েছে। আম বাগানের মালিকেরা আম পেড়েও অন্য রাজ্য বা জেলাতে পাঠাতে পারছেন না। কারণ আম পাঠাতে যে পরিমাণ খরচ হচ্ছে তা কোনভাবেই উঠছে না বাজার থেকে। ফলে ক্ষতির মুখে আম চাষিরা।
আরও পড়ুন মোটা টাকার দাবিতে হাসপাতালে আয়াদের ‘দাদাগিরি’
আরও পড়ুন ৭ বছরেও অধরা রহস্য, কোথায় জাদুঘরের আধিকারিক?
মালদহ জেলার হিমসাগর, ফজলী, ল্যাংড়া, লক্ষ্মণভোগ, আম্রপালী, মল্লিকা, আরাজন্মা, দুধকুমার, গোলাপখাস, জিলেপিখাড়া, গোপালভোগ আম সহ প্রায় ৪০টি প্রজাতির আম উৎপাদন হয়। এই বছর প্রায় ৩৪ হাজার হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। ফলন হয়েছে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি। কিন্তু আম পেড়ে বাজারজাত করতে হিমশিম খাচ্ছেন আম চাষিরা। তাই বাগানেই আম পচে নষ্ট হচ্ছে। উল্লেখ্য আম এমন একটি ফল যে তাকে বেশী দিন সংরক্ষণ করা যায় না। আর করতে গেলেও যে পরিকাঠামো দরকার তা মালদহ জেলাতে নেই।
আরও পড়ুন চোখের সামনে পাথর হচ্ছে সন্তান, অসহায় বাবা-মা
আরও পড়ুন পূর্বপুরুষ এক, গণধোলাইকারীরা হিন্দুত্ব বিরোধী: মোহন ভাগবত
তাই অবিলম্বে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চেয়ে কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট দফতরে চিঠি দিয়েছেন মালদহ ম্যাঙ্গো মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সভাপতি উজ্জ্বল সাহা। তিনি জানিয়েছেন, মালদহ জেলার প্রায় ৭০ ভাগ মানুষ এই আম চাষের সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে যুক্ত। এই জেলার মূল অর্থনীতি নির্ভর করে আমের ওপরে। তাই কেন্দ্রীয় সরকার যদি অবিলম্বে আম চাষিদের পাশে না দাঁড়ায় তাহলে মালদহ জেলার অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে।
আরও পড়ুন আবার প্রেমের গল্প। ‘কিশমিশ’ না কিস মিস?
আরও পড়ুন সংক্রমণ কমলেও চিন্তা বাড়াচ্ছে দার্জিলিং
প্রতিবছরই মালদহ থেকে আম রফতানি হয় বিভিন্ন রাজ্যে। যেমন মালদহ থেকে সড়ক পথে আম যেত ত্রিপুরা, অসম, বিহার, দিল্লি, গুজরাট, ওড়িশা সহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যে। একইসঙ্গে আম পাঠানো হত পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র বাংলাদেশ, নেপাল সহ ভুটানে। কিন্তু করোনার জন্য এই বাজারও বন্ধ। এছাড়াও পেট্রোলের যে পরিমাণ দাম বেড়েছে তাতে আম বিক্রি করে গাড়ি ভাড়াটুকুও উঠছে না আম চাষিদের। তাই উৎপাদিত আম বিক্রির ক্ষেত্রে বিরাট সমস্যার মুখে পড়ছেন মালদহের আম ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন টিকাদান শেষ হলেই খুলবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান