পশ্চিম মেদিনীপুর : বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্তের ফলে রাজ্যে তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ। যার জেরেই বুধবার থেকে চলেছে একটানা বৃষ্টি। তার উপর ছাড়া হয়েছে দুর্গাপুর ব্যারাজের জল। ফলে, দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় সৃষ্টি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতির।
চন্দ্রকোণা
চন্দ্রকোণাতে শিলাবতী নদীর জলে প্লাবিত প্রায় ১০ টি গ্রাম। কিছুদিন আগেই বন্যায় শিলাবতী নদীর বাঁধ ভেঙেছিল। যার ফলে প্লাবিত হয়েছিল গোটা এলাকা। সেই বাঁধ দ্রুত মেরামতির আশ্বাস দিয়েছিল প্রশাসন। কাজও শুরু হয়েছিল। তবে, পুনরায় ওই বাঁধ তৈরির আগেই আবারও ভেঙে পড়েছে বাঁধ। ফলে কার্যত বিপাকে গ্রামবাসী। বিঘের পর পর চাষজমি জলের তলায় চলে যাওয়ায়, মাথায় হাত পড়েছে কৃষকদের।
বৃষ্টি কমলেও বেড়ে গিয়েছে নদীর জলস্তর। তার উপর জল ছাড়ছে ডিভিসি। যার জেরেই প্লাবিত গোটা এলাকা। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বহু গ্রাম। এর মধ্যেই আরও বাড়ানো হবে ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ। তার উপর আরও বৃষ্টি হলে কার্যত বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হবার আশঙ্কা করছে প্রশাসন।
অন্যদিকে, ঘাটালের পরিস্থিতিও সঙ্কটজনক। জলের তলায় ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা। বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে আবার জল বাড়তে শুরু করেছে। চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন ঘাটালের বানভাসি এলাকার মানুষ।
আরও পড়ুন – অতিবৃষ্টি এবং ডিভিসির ছাড়া জলে পুনরায় বন্যার আশঙ্কা উদয়নারায়নপুরে
আবহাওয়া দফতরের দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, নিম্নচাপ ক্রমশই পশ্চিম দিকে সরছে। যার ফলে বিভিন্ন জেলায় জারি করা হয়েছিল সতর্কতা। ভারী বৃষ্টির ফলে, পশ্চিমাঞ্চলের একাধিক নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের সেচ দফতর দূর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছেড়েছে। ফলে পুজোর আগেই বিপাকে সাধারণ মানুষ।