২০০ আসনকে পাখির চোখ করে এবার বিধানসভা নির্বাচনের ময়দানে নেমেছিল বিজেপি। কিন্তু মমতা ম্যাজিকে কার্যত পর্যদস্তু হয়েছে গেরুয়া শিবির। মাত্র ৭৭ আসনেই দৌড় থেমেছে তাদের। এদিকে ভোটের ফল বেরোনোর পর থেকেই বিজেপিতে ভাঙন অব্যাহত।
আরও পড়ুন: মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন শুভেন্দুর
এই পরিস্থিতিতে এবার ঘর সামলাতে মাঠে নামল রাজ্য বিজেপি। দলে পুরোনোদের গুরুত্ব দেওয়ার বিষয় উঠে এল। আদি-নব্য দ্বন্দ্ব মেটাতে পুরোনো কর্মীদের অবিলম্বে কাছে টানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাঁরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, তাঁদের কাছে যেতে জেলা কমিটিগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার হেস্টিংস দফতরে বিভিন্ন জেলার নেতাদের নিয়ে বৈঠক করে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ মেনন, অমিত মালব্য-রা। রাজ্য নেতৃত্বের তরফে ছিলেন অমিতাভ চক্রবর্তী, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, সঞ্জয় সিং। কয়েকটি জেলার নেতাদেরও এদিনের বৈঠকে ডাকা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রাম মামলা নিয়ে হাইকোর্টে বিক্ষোভ আইনজীবীদের
সূত্রের খবর, প্রত্যেকটি জেলার কাছ থেকে ব্লকভিত্তিক রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। যে সকল পুরোনো কর্মীরা অভিমান করে দূরে সরে গিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে অবিলম্বে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব স্পষ্ট করে দিয়েছে, পুরোনো কর্মীদের গুরুত্ব দিয়েই দল এগোবে।
বিজেপি সূত্রে খবর, ভোটের সময় তৃণমূল থেকে আসা নেতাদের বেশি গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টি অনেক পুরোনো নেতাকর্মী ভালো চোখে নেননি। অনেকেই দল থেকে নিজেদের দূরত্ব বাড়িয়ে ফেলেছিলেন। এমনকি বিধানসভা ভোটের সময় দলের হয়ে কাজও করেননি।
আরও পড়ুন: শুভেন্দুর মামলার শুনানি সোমবার
ভোটে বিজেপির ভরাডুবির পরে নব্যদের দল ছাড়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। ঘর সামলাতে তাই অবিলম্বে পুরনো কর্মীদের দলের কাজের সঙ্গে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গেরুয়া শিবির। এখনও দেখার, নয়া পদক্ষেপে দলের ভাঙন কতটা ঠেকানো যায়।