কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: ফাঁকা জঙ্গলের রাস্তায় একা পেয়ে হাত পা বেঁধে এক আদিবাসী ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ উঠল চার দুস্কৃতির বিরুদ্ধে। অভিযোগ ওই ছাত্রীকে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে জোর করে ওষুধ খাওয়ানোরও চেষ্টা করে দুস্কৃতিরা। কোনও রকমে দুস্কৃতিদের হাত ছেড়ে ছুটে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন আদিবাসী তরুনী । ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার তালডাংরা থানার আমডাংরার জঙ্গলে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।ছাত্রীকে উদ্ধার করে প্রথমে আমডাংরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ওই ছাত্রীকে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার তালডাংরা থানার শিমুলডাঙ্গা গ্রামের একাদশ শ্রেনীর এক ছাত্রী অন্যান্য দিনের মতো রবিবার সকালে সাইকেলে করে স্থানীয় সাবড়াকোন এলাকায় কম্পিউটার শিখতে যাচ্ছিল। অভিযোগ সাইকেলে করে একা আমডাংরার জঙ্গলের রাস্তায় যাওয়ার পথে আচমকাই তিন চার জন যুবক ওই ছাত্রীর পথ আটকায়। ঘটনাস্থলে ছাত্রীকে সাইকেল থেকে ফেলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ।
ছাত্রীর পরিবারের দাবি, তাঁর হাত পা বেঁধে তাকে জঙ্গলের ভেতরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে দুস্কৃতিরা। জোর করে ছাত্রীকে ওষুধ খাওয়ানোর চেষ্টা হয়। এমনকি তারা ছাত্রীকে লাঠি দিয়ে মারধর করে বলেও অভিযোগ। এই সময় স্থানীয় দুজন ব্যাক্তি রাস্তা দিয়ে পেরিয়ে যাচ্ছিল। ছাত্রীর পরিবারের দাবি তাদের দেখেই দুস্কৃতিরা পালিয়ে যায়। এবং ওই ছাত্রী কোনও রকমে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। এরপরই ওই ছাত্রীকে স্থানীয় আমডাংরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান পরিবারের লোকজন। পরে তাকে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ছাত্রীর মাথার ডান দিকে ও বাম দিকের পায়ে আঘাত রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। কেন এমন ঘটনা ঘটল? পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।এর পিছনে পারিবারিক বিবাদ বা পুরানো কোনও শত্রুতা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে তালডাংরা থানার পুলিস।
আরও পড়ুন COVID-19 India: দেশে একদিনে সঙ্ক্রমণ ছাড়িয়েছে আড়াই হাজারের গণ্ডি, চিন্তায় মৃত্যুর সংখ্যা